বাংলা একাডেমির ফেলো সম্মানে ভূষিত হয়েছেন সাত ব্যক্তিত্ব। বার্ষিক সাধারণ সভায় ফেলোশিপ পর্বে একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেছেন, বই মেলার আয়োজন প্রকাশকদের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাংলা একাডেমির উচিত নতুন বই প্রকাশ ও বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণায় পুরোপুরি মনোযোগী হওয়া।
বাংলা একাডেমির ৩৯তম সাধারণ সভায় সকাল থেকে একাডেমির জীবন সদস্য ও সাধারণ সদস্য এবং ফেলোরা আনন্দমুখর সময় পার করেন। বিকেলে একডেমি প্রাঙ্গণে হয় ২০১৬‘র ফেলো সম্মাননা অনুষ্ঠান। নিজ ক্ষেত্রে গবেষণা ও কর্মের মাধ্যমে যারা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছেন তাদেরকে সম্মানসূচক এ ফেলোশিপ দেওয়া হয়। নতুন ফেলোরা হলেন, আইন অঙ্গনের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদানের জন্য ব্যারিষ্টার রফিক-উল-হক।
সাংবাদিকতায় নতুন ধারা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে সমৃদ্ধির জন্য সাংবাদিক তোয়াব খান।
শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যাল মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী।
৩২ বছর ধরে কৃষি ও উন্নয়ন সাংবাদিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে অবদানের জন্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
মুক্তিযুদ্ধের গণআন্দোলনে নেতৃস্থানীয় নারী শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফি।
এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। বিদেশে থাকায় রথীন্দ্রনাথ রায়ের পক্ষে তার বোন সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সভাপতি এবং মহাপরিচালক বলেন, যারা সম্মানসূচক ফেলো হয় তাদের সম্মান জানিয়ে গৌরবান্বিত হয় বাংলা একাডেমি।
বাংলা একাডেমির সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান বলেন, সেই সব বিশিষ্টজন যারা নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন তাদের সম্মান জানানোর জন্য, তাদের আজীবন কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এই ফেলোশিপটা প্রদান করা হয়। এবং প্রতিবছরই দেশের বিশিষ্ট গুণীদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে বেছে নিয়ে বাংলা একাডেমি এই ফেলোশিপটা দিচ্ছে। আমার মনে হয় এখন পর্যন্ত এই ফেলোশিপ নিয়ে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, আমরা মাঝে মাঝে বিব্রত হই। অনেকেই আমাদের অনুরোধ করেন যেন তাদের ফেলোশিপটা দেওয়া হয়। অনেকে বলেন পুরস্কারটা আমাকে দিয়ে দিবেন। এটা মনে হয় আমাদের অনুরোধ করার দরকার নেই। বাংলা একাডেমি কাকে পুরস্কার বা ফেলোশিপ দিবে সেটা নির্ধারণ করার মতো যোগ্যতা বাংলা একাডেমির আছে।
এবারের সাধারণ সভায় একাডেমির প্রায় আড়াই হাজার সদস্য অংশ নেন। এদিন বাংলা একাডেমির মজহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার পেয়েছেন কবি আবু বকর সিদ্দিক, কবির চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন আখতার হুসেইন এবং সা’দত আলী আখন্দ স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক হুসেনউদ্দিন হুসেন।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: