শেষ হলো দু’ দিনের বিনিয়োগ সম্মেলন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নানা সুযোগ সুবিধার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার।
বিনিয়োগকারীরা বলছে, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ হবে বিদেশী বিনিয়োগের নতুন দ্বার।
জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা আঙ্কটাড এর বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে আগের বছরের তুলনায় সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ কমেছে ৪ দশমিক সাত চার শতাংশ।
তবে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে লক্ষ্য তার অন্যতম অনুষঙ্গ বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ করা।
এ লক্ষ্যে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো দু‘ দিনের ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পলিসি সামিট।
সমাপনী দিনে আলোচনা হয় বাংলাদেশে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে। ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে সম্ভাবনার কেন্দ্র হিসেবে দেখছেন দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কথাও এসেছে তাদের বক্তব্যে।
বিনিয়োগকারী হুসেন খালেদ বলেন, এখন যে নীতিগুলো রয়েছে সেগুলোকে আরো বিনিয়োগ বান্ধব করা। দ্রুত গতিতে কাজ গুলো যেন শেষ হতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা।
আরেক বিনিয়োগকারী আশরাফুল এইচ চৌধুরী বলেন, যারা বিনিয়োগ করছে ওদের রাজস্ব এবং বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করে যদি উনাদের সিআইপি ধরনের মর্যাদা দেওয়া যায়।
মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রবাসীরা হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা নিয়ে বসে আছেন, বিভিন্ন ব্যাংকে ফেলে রাখছেন, তা কাউকে পাচ্ছেন না যে কিভাবে এখানে বিনিয়োগ করবেন।
চ্যালেঞ্জ থাকলেও বিনিয়োগে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করা হবে। এটা করলে লাইসেন্সিং থেকে শুরু করে ইন্ড্রান্টির জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস অনেকটাই স্বস্তিকর হবে।
চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে বাংলাদেশে আরও বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করেন সেমিনারে যোগ দেওয়া বিনিয়োগকারীরা।