বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকাকে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণা করেছে বিজিবি এবং বিএসএফ। মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে এ জোন উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার কাল্যানীতে সীমান্ত সম্মেলন করে বিজিবি ও বিএসএফ। সম্মেলনে দু’দেশের সীমান্তের ৮.৩ এলাকাকে ক্রাইম ফ্রি জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।
বিজিবি’র মহাপরিচালক আবুল হোসেন এবং বিএসএফ’র মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা সাংবাদিকদের জানান, সীমান্তে অপরাধ দমনে ড্রোন ব্যবহার করা হবে। সীমান্তে যৌথভাবে স্পিড বোট, সিসি টিভি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যহারের কথাও জানান তারা।
ক্রাইম ফ্রি জোনে ইতোমধ্যে বিজিবি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও সার্চ লাইটসহ নানা সরঞ্জাম বসিয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সচেতনতাও সৃষ্টি করছে তারা।
বাংলাদেশের পুটখালী ও দৌলতপুর সীমান্ত এবং ভারতের গুনারমাঠ ও কালিনী সীমান্তের মধ্যে এ ক্রাইম ফ্রি জোন পড়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের দ্বিবার্ষিক সীমান্ত সম্মেলনে এই জোন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই এলাকায় নারী-শিশু পাচার, মাদক,-অস্ত্র ব্যবসাসহ অসামাজিক এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।