চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচেও আম্পায়ার সেই আলিম দার

আগামী ২ জুলাই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের রাস্তা খোলা রাখতে জন্য সেই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন ‘বিতর্কিত’ পাকিস্তানি আলিম দার।

আইসিসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠ আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন শ্রীলঙ্কান রুচিরা পালিয়াগুরুগে ও সাউথ আফ্রিকার মরিস এরাসমাস। আর তৃতীয় আম্পায়ার থাকবেন আলিম দার। ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন লঙ্কান কুমার ধর্মসেনা। ম্যাচ রেফারি থাকবেন আরেক লঙ্কান রঞ্জন মাদুগালে।

বাংলাদেশের একাধিক ম্যাচে আলিম দার আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের এ আম্পায়ার বাংলাদেশের কোনো ম্যাচে যুক্ত থাকলেই বারবার ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে আসেন!

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ ম্যাচেও থার্ড আম্পায়ারের (টিভি আম্পায়ার) দায়িত্বে ছিলেন আলিম দার। সেই ম্যাচে লিটন দাসের আউট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থামেনি এখনও।

স্পিনার মুজিব-উর রহমানের বলে কভারে ড্রাইভ খেলেছিলেন লিটন। শর্টকভারে দূরহ এক ক্যাচ নেন হাসমতউল্লাহ। ক্যাচ নিয়ে তিনি উদযাপন শুরু করলেও নিশ্চিত ছিলেন না দুই ইংলিশ আম্পায়ার মাইকেল গফ ও রিচার্ড কেটেলবরো। অনফিল্ড আম্পায়ারদ্বয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য রিভিউ চেয়ে বসেন। টিভিতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে রিভিউতে ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন পাকিস্তানি আলিম দার।

লিটন সাজঘরে ফেরার আগেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক, তিনি আসলে আউট ছিলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উচ্চকিত হয়। ইএসপিএন-ক্রিকইনফোর লাইভ কমেন্ট্রিতে লিটনের আউটকে ৫০/৫০ বলা হয়।

রিপ্লেতে দেখা যায়, হাসমতউল্লাহর ডানহাতের আঙুলের মাথায় ওপর বল পড়েছে, কিন্তু তার বাঁ-হাত তখনো অনেকটা দূরে। তার মাথা ছিল উপর দিকে। ফলে তিনি দেখতে পাননি বল আসলে মাটি ছুঁয়েছে কিনা। তবে উদযাপন শুরু করে দেন। ডানহাতের আঙুল কিছুটা নিচে থাকলেও বল মাটি স্পর্শ করেছে বলেই পরে দেখা যায় রিপ্লেতে।

লিটনের পর একই ম্যাচে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হন সৌম্য সরকার। মুজিবের বলে লেগ বিফোরে আউট হন সৌম্য। টাইগার বাঁহাতি রিভিউ নিয়েছিলেন, কাজ হয়নি। রিপ্লে দেখে আউটের ঘোষণাই আসে টিভি আম্পায়ার দার থেকে। মাঠের আম্পায়ার আগেই আউটের সিদ্ধান্ত না দিলে অবশ্য অন্যরকম ফল হতে পারত বলে বিশ্লেষকদের মত।

সৌম্যর আউট ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয় টিভি আম্পায়ার আলিম দারকে ঘিরে। রিপ্লে দেখতে যেয়ে তিনি আউটের শর্তের সবগুলো ধাপ যাচাই করেননি। সৌম্যর লেগ-বিফোরের উইকেট যাচাই করতে যেয়ে থার্ড আম্পায়ার দার ‘আল্ট্রা-এজ’ ধাপটি না দেখেই সৌম্যকে আউট ঘোষণা করে দেন।

২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে আলিম দারের একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের আম্পায়ারিং নিয়ে তখন তুলকালাম হয়ে যায় ক্রিকেট বিশ্বে। বিশ্ব ক্রিকেটের একটি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে আলিম দার ও ইয়ান গৌল্ডের সেই ম্যাচের বিতর্কিত কাণ্ডগুলো। সেদিন অবশ্য দার ছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার।