বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে এখন নতুন উচ্চতায় নেয়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে সফররত ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশ – ভারত ব্যবসায়িক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অরুণ জেটলি বলেন, ঐতিহাসিক এ সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে। তাই এখন সময় এসেছে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নেয়ার, অমিমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান করার। কারণ দুই দেশের সম্ভাবনার সর্বোচ্চটা নিশ্চিত করতে পারলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সরকার পর্যায়ে এর সুফল পাওয়া যাবে।
ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারত ওষুধ, আইটি, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া দক্ষ জনবল তৈরিতেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব খাতে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ আছে বাংলাদেশের।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের দুইটা অর্থনৈতিক জোন ভারত সীমান্তের কাছাকাছি স্থাপিত হচ্ছে। এই দুইটি জোন চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে।
অনুষ্ঠানে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে যেসকল বাধা রয়েছে তা দুর করার মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদের দৃঢ় সম্পর্ক থাকলেও দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি। অর্থাৎ, বাংলাদেশ ভারত থেকে অধিক পরিমাণে আমদানি করে কিন্তু ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি খুবই কম।
দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি তুলে ধরে তিনি জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সর্বশেষ দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ৫শ ৪৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৬১৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য পক্ষান্তের রপ্তানি করেছে মাত্র ৬৭ কোটি ২৪ লাখ ডলারের পণ্য। তাই এই বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যাটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সমস্যা। আঞ্চলিক এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ববাসীকে নজর দিতে হবে।
ব্যবসায়িক সভায় শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রীংলা, ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি পঙ্কজ প্যাটেল, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ।