বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা (৮ কোটি ডলারের বেশি) লোপাটের অভিযোগে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছে ফিলিপিন্সের অর্থপাচার বিরোধী পরিষদ বা এন্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল। সোমবার এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আমান্দো তেতাঙ্কো ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘অর্থপাচার বিরোধী আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে।’
শনিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত কারো নাম বলেননি তেতাঙ্কো। তবে তিনি জানান, ১৫ মার্চের সিনেট শুনানিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
‘শুধু মঙ্গলবারের শুনানির জন্য অপেক্ষা করুন,’ বলেন গভর্নর।
ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ হস্তান্তরের ওই অনুরোধ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ভুল ব্যাংক কোডের মাধ্যমেই গিয়েছিল এবং সেটা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার থেকেই বলে প্রতীয়মান হচ্ছে বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ।
এদিকে ফিলিপিন্সের স্টার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দেশটির রিজাল কর্মাসিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার মাইয়া সান্তোষ দেগুইতো এ কেলেঙ্কারি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবারের সিনেট শুনানিতে দেগুইতো হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। এর আগে দেগুইতো সপরিবারে ফিলিপাইন ত্যাগের চেষ্টা করলে বিমান থেকে তাদের নামিয়ে আনা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে নিউইয়র্ক ফেডারেল ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা ফিলিপিন্সের ব্যাংকে অবৈধভাবে হস্তান্তর হলে বিষয়টি সেদেশের গণমাধ্যমই প্রথম প্রকাশ করে। তার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি জানলেও তা গোপন রাখে।
এ কারণে সন্দেহ জোরালো হচ্ছে যে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হ্যাকিংয়ের এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকতে পারে।