রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত সন্দেহে তাদের পাসপোর্ট এবং কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজী হাসান।
বিষয়টি তদন্তাধীন বলে বেশি কিছু বলতে না চেয়ে ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজী হাসান জানান, ‘আমরা তদন্ত করছি ঐ টাকা কিভাবে কোথায় কার কাছে গেল, কী হয়েছে, কে ওটার সুবিধাভূগি। আমরা পুরো বিষয়টা তদন্ত করে জানতে পারবো।’
সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সহযোগিতা দিতে বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা রাকেশ আস্তানা কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে।
বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ থেকে হ্যাকড হওয়া ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলংকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাকি ৮১ মিলিয়ন ফিলিপিন্স থেকে অচিরেই ফেরত আনা হবে বলে জানান ব্যাংকের মুখপাত্র শুভকংর সাহা। তবে এই চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউই।
সুইফট কোড হ্যাক করে রিজার্ভ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বিনিয়োগ করা অর্থের একটা বড় অংশ চুরি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও পেইমেন্ট সিস্টেম বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর। বৈঠক শেষে জানানো হয় চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের সুখবর।
কয়েকটি বেসরকারী ব্যাংকের এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই, বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এই ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা। দেশে এত বড় সাইবার অপরাধের এই প্রথম।