বাংলাদেশের ব্যাংকের অর্থ খোয়া যায়নি তা লুট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ঘটনা বিশ্লেষণ করে বিএনপি দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ ঘটনায় জড়িত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনার পরপরই তা নিয়ে শুরু হয় নানা বিতর্ক। পদত্যাগ করেন বাংলাদেশ ব্যংকের গভর্নরও। এতদিন এ নিয়ে সমালোচনা করে আসলেও এবার পুরো ঘটনা নিয়ে গবেষণা করেছে বিএনপি। সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে তা তুলে ধরেন দলের নেতারা।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বলেন, অর্থ হারানোর ঘটনাটি হ্যাকিং বা ম্যালওয়্যার নয়। এটি মূলত ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক লুট। ‘আমরা যুক্তি ও বিশ্লেষণ থেকে দেখেছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরের কেউ জড়িত না থাকলে এটি সম্ভব নয়।’
দলের নেতারা মনে করছেন সরকারের তদন্তেও তাদের এ পর্যালোচনা কাজে আসবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ মনে করেন, সরকার মামলাসহ যাবতীয় পদক্ষেপের কথা বললেও আসল জায়গায় যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ব্যাপারটা খুবই সহজ। ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে টাকা গিয়ে থাকলে তাদেরকে টাকা ফেরত দিতে বললেই হয়। আর কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। এটাই নিয়ম।
কিন্তু সেটা না করে পানি ঘোলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আমির খসরু মাহমুদ। তার দাবি, সংবাদ সম্মেলনে দেখানো প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিএনপি সরকারের কাজ আরো সহজ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে দ্বিমত থাকলে সেটাও সরকারের তুলে ধরা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
বিস্তারিত বিশ্লেষণের এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।