দুই পক্ষে অনড় অবস্থানের কারণে ভেস্তে যাওয়া ভারত ও পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজটা অবশেষে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে না, হবে শ্রীলঙ্কায়।
দিন তিনেক আগে পশ্চিমবঙ্গের ইংরেজি দৈনিক ‘কলকাতা টেলিগ্রাফ’ খবর দিয়েছিলো প্রতিবেশি দুই দেশের (বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা) যেকোনো একটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিসিআই। শেষ পর্যন্ত লঙ্কাকেই বেছে নিয়েছে দুই বোর্ড।
দু’দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের অচলাবস্থা কাটে দুবাইয়ে আইসিসির হেড কোয়ার্টারে একটা বৈঠকের পরে। যে বৈঠকটা হওয়ারই কথা ছিলো না, সেটা হয়েছে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান জাইলস ক্লার্কের চেষ্টায়।
ভারত আর পাকিস্তান, দুই ক্রিকেট বোর্ড শ্রীলঙ্কায় এই সিরিজটা খেলতে রাজি। তবে দু’দেশের সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই সিরিজের যাবতীয় খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করা হবে।
পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানকে আজ ডেকে পাঠিয়েছে সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। আর পাকিস্তান সরকারের সিরিজটা করার অনুমতি দিয়ে দেওয়ার ভালো রকমের সম্ভাবনা রয়েছে।
২৫ নভেম্বর দুবাইয়ে ফিরবেন শাহরিয়র খান। জাইলস ক্লার্ক এবং ভারতীয় বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে তখন আরো একদফা কথা বলবেন তিনি।
২০১৩ সালের পর আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি ক্রিকেটের এই দুই পরাশক্তি। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট সিরিজ স্থগিত করেছিলো ভারত।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশের মাটিতে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি পাকিস্তান। এর পর থেকে ‘হোম গাউন্ড’ সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলছে তারা। এই আরব আমিরাতেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ভারতকে প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান।
কিন্তু নিরাপত্তার কথা বলে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় ভারত। পাকিস্তানকে নিজ দেশে খেলার পাল্টা প্রস্তাব দেয় বিসিসিআই। একই কারণ দেখিয়ে ভারতের সিরিজ খেলতে অস্বীকার করে পাকিস্তান। দুই দেশের অনড় অবস্থানের কারণে ভেস্তে যায় দুই ক্রিকেট পরাশক্তির সিরিজ।
আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কোনো ব্যস্ততা নেই বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে। সেই সুযোগটাই নিতে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
দুই দেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কার কথাই বেশি জোর দিয়ে বলেছিলো কলকাতা টেলিগ্রাফ। কারণ হিসেবে পত্রিকাটি বলেছিলো, বাংলাদেশে বিপিএল চলবে। জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের টেস্ট সিরিজ রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সফর স্থগিতের প্রসঙ্গও টানা হয়েছিলো সেই প্রতিবেদনে।