বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাস্তব উদ্বেগ’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা।
বুধবার এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশের নাগরিকরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছে।’
তিনি আরো বলেন ‘আমরা এখনো দেখতে চাই যে বাংলাদেশে মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা হচ্ছে, যেমনটা আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও দেখতে চাই’।
‘কাজেই এসব বিষয়ে এখনো আমাদের বাস্তব উদ্বেগ রয়েছে এবং তাতে পরিবর্তন আসেনি।’-বলেন কিবরি।
সম্প্রতি মার্কিন মুখ্য উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম ই টডে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার পরপরই এই ধরণের বক্তব্য এলো।
এর আগে গত ৮ মে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ২০ জনেরও বেশি ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, শিক্ষাবিদ এবং রাজনৈতিক কর্মী খুনের ঘটনা নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস।
‘বাংলাদেশ’স ডিসেন্ট ইনটু ল’লেসনেস’ শীর্ষক ওই সম্পাদকীয়তে শেখ হাসিনা সরকারকে ইসলামি চরমপন্থি দমনে কঠোর হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়াও সেখানে উঠে আসে বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থিদের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ট্রাইব্যুনালের বিষয়গুলো।