বিসিবির সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা তিন কোচের মধ্যে পাইবাস বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে তার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনা নিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন এই সাউথ আফ্রিকান কোচ। বৃহস্পতিবার সকালে ফিরে যাবেন নিজ দেশে।
পাইবাসের পরিকল্পনা দেখে বিসিবি সন্তুষ্ট হলেও বাংলাদেশের হেড কোচের চাকরি তার নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে ব্যাপারটা এমন নয়। ৯ ডিসেম্বর বোর্ডে এসে পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কোচ ফিল সিমন্স। তার আসার আগেই আরেকজন কোচেরও পরীক্ষা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন আগামী ১০ ডিসেম্বর নতুন কমিটির প্রথম বোর্ড সভায় নিশ্চিত হয়ে যাবে কে হচ্ছেন চন্ডিকা হাথুরুসিহের উত্তরসূরি।
লম্বা সময় ধরে পাইবাসের কর্মপরিকল্পনা শুনে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ‘পাইবাসের প্রেজেন্টেশন নিঃসন্দেহে ভাল ছিল। উনি ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন, ১০ বছরের একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন। আমাদের এখন দুটোই দেখতে হবে দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী। সামনে বিশ্বকাপ আছে। সেটাও আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ও যা চায় বা যেরকম বলছে এখনই হয়তো তা বাস্তবায়নের পথে নিতে পারবো না। তবে ক্রমান্বয়ে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারলে আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্য ভালই হবে। তার পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদী তার মানে এই না যে, তিনিই ১০ বছর থাকবেন বা থাকতে চান।’
কোচ নিয়োগের আগে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পছন্দের ব্যাপারটি ভাবা হয়েছে কিনা-এ প্রশ্নে নাজমুল হাসান জানান, ‘তামিম, মাশরাফী ও সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরও অনেক খেলোয়াড়ের সাথেও কথা হয়েছে। অনেকে হয়তো মনে করে বিদেশি কোচেরই দরকার নেই। অনেকে মনে করে স্থানীয় কোচ হলে ভাল হয়। অনেকে মনে করে কোচেরই দরকার নেই! একেকজনের একেক মতামত থাকবেই। কিন্তু বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা ভাল হয়।সেই সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হবে। পাইবাস কিন্তু উঁচুমানের একজন কোচই। তার সুখ্যাতি আছে আন্তর্জাতিক কোচের বাজারে।’
এর আগেও বাংলাদেশে কাজ করে গেছেন পাইবাস। ২০১২ সালে স্টুয়ার্ট ল’র স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। বিসিবির সঙ্গে তিক্ততায় দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে যেতে পারেননি সেসময়। অনুশীলনে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না দেয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন পাইবাস। বিসিবির কাছে যে ধরনের সহায়তা আশা করেছিলেন, সেসময় মেলেনি সেগুলোও। পরে সাড়ে চার মাস কাজ করার পর না জানিয়েই চলে যান। নাজমুল হাসান জানালেন, এবার নাকি নিজ আগ্রহেই কোচ হতে চাইছেন তিনি।
‘নিজ থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন উনি। তার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশ টিম এখন ভাল করছে। এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে শুধু তিনি না, অন্য পেশাদার কোচও এই বোর্ডের সাথে কাজ করতে চাইবে। এখন দু’পক্ষেরই একটা ব্যাপার আছে। সব ফিট হচ্ছে কিনা। উইন উইন পরিস্থিতি যদি দু’পক্ষেরই মধ্যে না থাকে তাহলে কিন্তু ভাল কিছু হয় না। আমরা চেষ্টা করবো যেটা ভাল হয় সেটা করার।’