রাজনৈতিক কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী । এর আগে তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত দারজা বাবদাজ কুরেতের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
গত ২৯ জুলাই থেকে বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের ১২২টি দেশ ও অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) পুনর্বহাল করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ নেই। এ বিষয়ে জানতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কারণ ছাড়া, রাজনৈতিভাবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা ছাড়া এটা (জিএসপি) না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। যেখানে বারাক ওবামা নাইরোবিতে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন, সেখানে সামান্য জিএসপি সুবিধা না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে এতে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পেতে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, জিএসপি পাওয়ার জন্য আমি কোনো উদ্যোগ নিতে রাজি না। আমরা আমাদের শর্ত পূরণ করেছি, আমাদের আর কিছু করার নেই। তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংগঠন আমেরিকান অর্গানাইজেশন অব লেবার-কংগ্রেস ফর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এএফএল-সিআইও) এর আবেদনে ২০১৩ সালের ২৭ জুন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা হয়।
জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬টি শর্ত পূরণ করা হয়েছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা ওই সব শর্তের চেয়েও আমরা বেশি কিছু করেছি, এরপরও তারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করবে না। রাজনৈতিক কারণ ছাড়া জিএসপি ফিরে না পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
জিএসপি ফিরে পেতে ট্রেড ইউনিয়ন বাধা কি না- এ প্রশ্নে তোফায়েল বলেন, আমি অনেক কথা বলতে চাই না। তৈরি পোশাককে জিএসপি দেয় না, মার্কেট এক্সেস দেয় না। কিন্তু তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা আশা করবো, আমাদের সঙ্গে যেহেতু টিকফা আছে, এর আওতায় তারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করবে।