বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রস্তাবিত উৎপাদনশীলতা সহযোগিতা উন্নয়ন বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগামী ১৪ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময় এ চুক্তি সই হবে। এছাড়া শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন এবং নাফ নদীর সীমানা নির্ধারণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তির অনুসমর্থন প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকারের ১২৩ তম মন্ত্রিসভার বৈঠক সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর্যলোচনা করা হয়।
এই তিন মাসে ৮ বৈঠকে ৫৬টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যার মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৩৬টি এবং বাস্তবায়নাধীন আছে ২০টি। এই সময়ে জাতীয় সংসদে আইন পাশ হয়েছে ১০টি। উত্তর নাফ নদীর সীমানা নির্ধারণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তির অনুসমর্থন প্রস্তাবেও অনুমোদন দেয়া হয়েছে বৈঠকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এক্রেডিটেশন কাউন্সিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক দিনের চাওয়া একটি আইন। বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এই আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়। আইনের কাউন্সিল গঠনের ছয় ধারায় বলা হয়েছে চেয়ারম্যান, চারজন পূর্ণকালীন সদস্য ও আটজন খণ্ডকালীন সদস্য নিয়ে এই কমিশন গঠিত হবে। ইউজিসির এক্রেডিটেশনের কোনো দায়িত্ব নেই। তারপরও ইউজিসির আইনটা নতুন করে পুনর্বিন্যাস করে আনা হবে। ইউজিসি মূলত ফাইন্যান্সটা দেখে, বাজেটটা দেখে, জনবল দেখে।আর এরা কোয়ালিটি কন্ট্রোল অব এডুকেশনটা দেখবে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে উৎপাদনশীলতা ও সহযোগীতা উন্নয়ন বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
শফিউল আলম আরো বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে প্রস্তাবিত উৎপাদনশীলতা ও সহযোগিতা উন্নয়ন বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অনুসমর্থন দেওয়া হয়েছে। এটা দুই দেশের মধ্যে উন্নয়ন বাড়ানোর মতো ছোট্ট একটা চুক্তি। ফ্রেম অব এগ্রিমেন্ট তৈরি করা হয়েছে সেটা মন্ত্রীসভা অনুমোদন দিয়েছে। চীনর রাষ্ট্রপতি আসলে তার সামনেই এই চুক্তি সাক্ষরিত হবে।
এছাড়া মন্ত্রীসভায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা বাংলাদেশ আইন ২০১৬ এর খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।