বাংলাদেশকে এখন সাউথ এশিয়ার অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউজ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
তিনি বলেন, বাঙালির জোড়া উদযাপনে এই উন্নয়নচিত্রই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জাতির শ্রেষ্ঠ সম্মান।
আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের মঞ্চে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
রাজাপাকসে বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন নীতিনিষ্ঠ মানুষ। বাংলার মানুষের জন্য তিনি তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন, এই বাংলার ভাষা এবং তাদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য। স্বাধীনতার সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এবং একটি নতুন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে তিনি ছিলেন দৃঢ়চিত্ত। দুর্ভাগ্যবশত তিনি তার প্রিয়ে দেশের জন্য যে স্বপ্ন লালন করছিলেন তা দেখে যাওয়ার জন্য বেঁচে থাকতে পারলেন না।”
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই দিন এক জাতি তার নায়ককে, স্বাধীনতার জনককে হারিয়েছে। এক মেয়ে হারিয়েছেন তার পিতা, ভাই ও অন্য স্বজনদের।
মাহিন্দা রাজাপাকসে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে দুই দেশের মধ্যে মেরিটাইম, শিপিং ও বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়। বঙ্গোপসাগরে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ব্লু ইকোনমির প্রস্তাব প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে আসছে আমাদের মেরিটাইমের বিষয়ে।
করোনা মহামারির নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার মানুষের পক্ষে সংহতি জানাতে এখানে অংশগ্রহণ করেছেন বলেও জানান তিনি।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এমনও ধারণা করা হয় যে, ৬ শতাব্দী (খ্রিস্ট পূর্বাব্দ) থেকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের জোরালো বাণিজ্য সম্পর্ক। ১৯৭১ সালে নবগঠিত বাংলাদেশের সঙ্গে যারা প্রথমে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল শ্রীলঙ্কা তাদের মধ্যে অন্যতম।’
ব্লু ইকনোমি বা সমুদ্র অর্থনীতিতে জোর দিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গোপসারে সম্ভাবনা খুঁজতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাব আমাদের সামুদ্রিক অর্থনীতি জোরদার করার চিন্তাকে আরও উৎসাহিত করবে।