বাংলাদেশকে উন্নয়নের এক বিস্ময় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক আশংকাই এখন মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত। অনেক উন্নয়নশীল দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেছেন সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি’র লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে চায় বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ আয়োজিত এমডিজি টু এসডিজি এ ওয়ে ফরওয়ার্ড শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে এখন রোল মডেল বাংলাদেশ।
২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি’র লক্ষ্য অর্জনের সাফল্য বিস্মিত করেছে পুরো বিশ্বকে। বাংলাদেশের এই সফলতা অনেক উন্নয়ন গবেষক, চিন্তাবিদ আর স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদের কাছে ইতিমধ্যেই স্বীকৃত। সামনে এখন ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের উচ্চাকাংখী লক্ষ্যমাত্রা।
বিশ্বনেতাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশের এই সফলতার মূল চাবিকাঠি সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার আর জনগনের উৎসাহ। ২০১৫ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র কমে এসেছে অর্ধেকে, উন্নয়ন ঘটেছে মৌলিক শিক্ষা আর স্বাস্থ্য খাতে।
বিশ্বমন্দার মধ্যেও গত ৬ বছরে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশে ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। আর এক দশকে তিন গুণেরও বেশী বেড়েছে রপ্তানী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ৭গুণ।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের আওতায় সারাদেশে স্থাপিত ডিজিটাল সেন্টার থেকে ২০০টিরও বেশী সেবা পাচ্ছে মানুষ।
আগামীতেও এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশর স্থায়ী প্রতিনিধি একে আব্দুল মোমেন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, নেদারল্যান্ডের রাজা, বেনিনের রাষ্ট্রপতি, জাপান ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী, ইউএসডিপি’র প্রশাসক, বিশ্বব্যাংকের সভাপতির বিশেষ দূত এবং ইউএন এসকাপের প্রতিনিধি।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১৯৩ টি দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্জন ও সেই সঙ্গে গর্বের কথা বলেছে।
এখন সময় কেবল এগিয়ে যাওয়ার। আগামী ১৫ বছরে টেকসই উন্নয়নের আরো যে লক্ষ্যগুলো থাকছে সেগুলো কিভাবে আরো কার্যকরী ভাবে পূরণ করা যায় সেজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।