বাংলাদেশে ভারতের ১২টি ভিসা আবেদন কেন্দ্রে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) ‘ক্যাশলেস ভিসা সার্ভিস’ এবং এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ঢাকা কার্যালয় উদ্বোধন করেছেন ভারতের অর্থ ও কর্পোরেট সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী অরুণ জেটলি।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই দুটি ভারতীয় উদ্যোগের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় জেটলির সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
এর ফলে এখন থেকে যেকোন ডিজিটাল ট্রানজ্যাকশনে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। সেখানে নগদ অর্থের লেনদেন থাকবে না। এসবিআই ট্রাভেল কার্ডের মাধ্যমে সহজেই লেনদেনের সুবিধা পাবেন বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরা।
নতুন এই স্কিমের পর্দা উন্মোচনে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকার শ্যামলীতে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে (আইভিএসি) কামরুন নাহার নামের একজন এবং সিলেটের আইভিএসি থেকে মিসবা বেগম নামের একজনকে নতুন এই সুবিধায় ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেখা যায়।
পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ ও ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্যোগে ‘ভারত সরকারের ম্যাক্রোইকনোমিক ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রাধান্য দিয়েছি। বৈশ্বিক বাস্তবতায় এজন্য তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় জোর দিয়েছি। আমি মনে করি ডিজিটাল লেনদেন দুর্নীতিও কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এমনকি ব্যবসায়িক লেনদেন আরও সহজ করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে।
অনুষ্ঠানে অরুণ জেটলি বলেন, ভারতের জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ এখনও ব্যাংকিং খাতের বাইরে আছে। যা দেশটির অর্থনীতির সমৃদ্ধির গতি কমাচ্ছে।
তাই মোদী সরকার নগদ লেনদেন কমিয়ে আনতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসে ক্যাশলেস অর্থনীতি নিয়ে কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে দেশটিতে ৫৮ শতাংশ মানুষের ব্যাংক একাউন্ট আছে। আমরা দেশের সর্বসাধারণকে ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় আনতে চাই। যাতে নগদ লেনদেন কমিয়ে দেওয়া যায়। এজন্য সরকার পেনশন, ইনস্যুরেন্সসহ নানা প্রণোদনাও দিচ্ছে।
বাংলাদেশ-ভারত তৃতীয় ঋণ চুক্তি দু’দেশের পারস্পারিক আস্থার বহিঃপ্রকাশ জানিয়ে বিজেপি’র এই নেতা বলেন, আগে দুইবার বাংলাদেশকে ভারত সর্বোচ্চ ঋণ দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি আস্থা আছে বলেই তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট বা তৃতীয়বারের মত বিপুল অর্থের ঋণ চুক্তি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর বি শ্রী রাম, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, ভারতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাজ কুইনাও প্রমুখ।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ জায়েদি সাত্তার অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছাড়াও দেশের রাজনৈতিক ও গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরা এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।