বাংলাদেশে বসে কোনো পাকিস্তানি কূটনীতিককে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। তিনি বলেছেন, কোন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া গেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাশকতা ঘটাতে জঙ্গিদের সংগঠিত করার অভিযোগে আটক বাংলাদেশে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি নেতাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেশে জঙ্গী তৎপরতার পেছনে একটি দূতাবাসের একজন নারী কূটনীতিকের সম্পৃক্ততার তথ্য পান গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মন্তব্যও করেন তিনি।
পাকিস্তানি নাগরিক ইদ্রিস শেখের কাছে পাওয়া স্পাইং মোবাইল ফোন থেকে জঙ্গিদের অর্থ সহায়তা করাসহ জঙ্গি তৎপরতায় একটি দূতাবাস কর্মকর্তার সরাসরি জড়িত থাকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ইদ্রিস শেখসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি দূতাবাসের নারী কর্মকর্তার তথ্য তুলে ধরেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিলো, আটক ইদ্রিস ১৬৪ ধারায় মহানগর হাকিমের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই নারী কর্মকর্তাকে পাকিস্তান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি ফারিনা আরশাদ হিসেবে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে গত জানুয়ারিতে মাযহার খান নামের এক পাকিস্তানি কূটনীতিক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়।