যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান কার্যক্রমে সহায়তা করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর থেকেই নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের উপর নজরদারি চালিয়ে আসছে।
বৃহষ্পতিবার নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক দৈনিক ‘দ্যা নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড’এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের ‘গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনস সিকিউরিটি ব্যুরো’ নামের একটি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়েছে।
তারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদরদপ্তর ও ইউনিটগুলোর কথোপকথন রেকর্ডের পাশাপাশি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ এবং সিআইএকে দিয়েছে।
ভিডিও ফুটেজগুলোতে দেখা যায়, র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র্যাব) মানুষের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। সেখানে র্যাবের নাম ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর নাম স্পষ্ট করে বলা নেই। উল্লেখ্য র্যাবের বিরুদ্ধে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।
গোয়েন্দা সংস্থাটি তাদের সংগ্রহ করা তথ্যগুলো বাংলাদেশ সরকারকেও দিয়েছে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ছোটো একটি দেশ।দেশটিতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেক কম। তবে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন যে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এই দেশটিকে সন্ত্রাসীরা ট্রান্সপোর্ট রুট হিসেবে ব্যবহার করতে পারে ।
উইকিলিকসের ফাঁস করা বিভিন্ন দলিলের পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে পত্রিকাটি ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।