বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেল রপ্তানি করতে চায় ইরান। কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ইরানি রাষ্ট্রদূত আব্বাস ভায়েজি জানিয়েছেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ভারত, পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশেও জ্বালানি রপ্তানি করতে আগ্রহী তারা। এরইমধ্যে বাংলাদেশের জ্বালানি মন্ত্রীকে আমন্ত্রণের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সম্ভাবনার মুখে সারাবিশ্বেই অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করছে ইরান। এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকায় কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের নিয়মিত আয়োজন ‘ডিক্যাব টক’-এর অতিথি হিসেবে যোগ দেন রাষ্ট্রদূত আব্বাস ভায়েজি।
বলেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী আমরা।
আব্বাস ভায়েজি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আমরা দুদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চাই। বর্তমানে ইরান বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য নেয়। ভবিষ্যতে এই তালিকায় আরও পণ্য যোগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ইরান জ্বালানীর বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতেই আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় দেশের সঙ্গে ইরানের সমঝোতা চুক্তিটি নিয়ে আশাবাদি ইরানি রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ চাইলে জ্বালানি রপ্তানিতেও আগ্রহী তার দেশ।
ভায়েজি বলেন, ১২ বছর ধরে চলা ৬ জাতি আলোচনার পর ইরান চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, আশা করা যায় চুক্তিটি সফল হবে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান ও ভারতকে ইরানের দেওয়া তেল-গ্যাস পাইপলাইনে বাংলাদেশও যুক্ত হতে পারে ।
ইরানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের শ্রমিক যাওয়ার সুযোগ আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত জানান, আইএস-তালেবানের মতো সন্ত্রাসবাদ দমনেও একসঙ্গে কাজ করতে চায় তার দেশ।