চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের পরিমান বাড়ছে

চীনে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে চলে যাচ্ছে জাপানি বিনিয়োগকারীরা। তারা এশিয়াতেই আরও সহজলভ্য কোন দেশে উৎপাদনের জায়গা খুঁজছে। এসব কারণে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছেন। কেননা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এখানেই সবচেয়ে কম দামে শ্রমিক পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

২০০৮ সালে যে পরিমাণ বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে ছিল এখন সেই সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন(জেট্রো) তাদের এক জরিপে জানিয়েছে, ২০১৭ সালের মে মাসে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা কোম্পানির সংখ্যা ছিল ২৫৩। যদিও এই সংখ্যা চীন ও থাইল্যান্ডের পরিমাণের থেকে অনেক কম। তবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমাগতই বাড়ছে।

জেট্রো ওভারসিজ রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা মারি তানাকা বলেন, সবার কাছে একটি গরীব দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে শ্রমমূল্য জাপান ও পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের থেকে অনেক কম। ফলে এখানে অনেক বেশি পরিমাণে শ্রমিককে কাজে লাগানো যায়।

এশিয়া প্যাসিফিকের ১৯টি দেশের মধ্যে জাপানি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সবচেয়ে কম বেতন পায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা। এমনকি শ্রীলঙ্কা, লাওস ও মিয়ানমারের থেকেও কম বলে জানিয়েছে জেট্রো সার্ভে।

তবে কিছু ফার্ম এদেশের আভ্যন্তরীন উন্নয়নশীল বাজারের উপরও নজর রাখছে বলে জানিয়েছে জেট্রোর জরিপ। বড় বড় কোম্পানি, যেমন- হোন্ডা মোটর, রোহতো ফার্মাসিউটিকাল এবং অজিনোমোটো এখানে বিনিয়োগে বাজি ধরছেন। বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়েছে দ্বিগুণ।

তানাকা বলেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো আশা করছে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বাজার আরও বেশি উন্নত হবে।

২০০৮ সালে প্রথম জাপানের ইউনিক্লো অপারেটর বাংলাদেশে বিনিয়োগ শুরু করে। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ। পরবর্তীতে চীনে শ্রমমূল্য বেড়ে যাওয়া এবং চীন-জাপান সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় বাংলাদেশের দিকে আরও ঝুঁকে পড়ে তারা।

বাংলাদেশে থাকা ২৫৩ টি কোম্পানির মধ্যে ৩০টি পোশাক ও চামড়া শিল্পের, ১৫টি অবকাঠামোগত উপাদানের এবং আরো প্রায় ১৫টি আইটি সেবার কোম্পানি।