চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বাংলাদেশে এসে সিরিজ জিতে আফগান যুবাদের বার্তা

টেস্ট মর্যাদা পাওয়ায় আফগান ক্রিকেট কতটা উজ্জীবিত তার প্রমাণ মিলল দেশটির অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফরে। স্বাগতিক দলকে বিধ্বস্ত করে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে। শেষ ম্যাচে টাইগার যুবাদের ৩৩ রানে হারিয়ে ভবিষ্যৎ ক্রিকেটশক্তির বার্তাই দিয়ে গেলেন তারা।

আফগান যুবাদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়েই সিলেট গিয়েছিল সাইফ হাসানের দল। অথচ ফিরতে হচ্ছে সিরিজ হারের লজ্জা নিয়ে! পুরো সিরিজেই সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি সাইফ-আফিফ-পিনাকরা। এশিয়া কাপের আগে এটি নিঃসন্দেহে বড়সড় ধাক্কা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে আফগান যুবাদের করা ২৩৯ রানের জবাবে ৪৮.২ ওভারে ২০৬ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। ব্যাট হাতে একাই লড়েন তৌহিদ হৃদয়। ১০৮ বলে তার ৯৩ রানের ইনিংসটি থামতেই সিরিজ জয়ের উদযাপনে মাতেন আফগান যুবারা।

প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষকে মাত্র ৭৭ রানে গুঁড়িয়ে ১৪৫ রানে জয় তুলেছিল সাইফ-আফিফরা। সেই দাপুটেভাব আর ধরে রাখতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। শেষ তিন ম্যাচ টানা হারে সিরিজ হাতছাড়া।

তৃতীয় ম্যাচে ৭৫ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা পেতে হয়েছিল স্বাগতিকদের। ওই ম্যাচটি টাইগার যুবারা হারে ৫ উইকেটে। হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর আর সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ওপেনিং জুটি রানখরায় ভোগায় শেষ তিন ম্যাচেই ওপেনিংয়ে আনা হয়েছে পরিবর্তন। শেষ ম্যাচে পিনাক ঘোষের জায়গায় ওপেন করেন সজীব হোসেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েও লাভ হয়নি।

আফগানিস্তান জাতীয় দলের উত্থান রূপকথার গল্পের মতো। ২০১১ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সময় ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার মধ্য দিয়ে সেরাদের কাতারে উঠে আসার পথ তৈরি হয় তাদের। পরের ৬ বছরে অভূতপূর্ব উন্নতির মধ্য দিয়ে গেছেন তারা। ২০১৩ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলে আফগানিস্তান। ২০১৬ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছে তারা। বেশ দ্রুত উন্নতি করায় এ বছর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট স্ট্যাটাস দেয়া হয় তাদের।