দেশের তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে এক সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশের ‘ইয়াং বাংলা’ এবং গুগলের ক্যারিয়ার ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কর্ম’।
ইয়াং বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক কর্মশালায় মাধ্যমে ইয়াং বাংলার পাশে থাকার কথা জানায় গুগলের কর্ম।
দেশের ২৫ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থেকে ইয়াং বাংলার ২৫ ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এবং কর্ম অ্যাপের কর্মকর্তারা এই কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালায় কর্মের অপারেশন ম্যানেজার জেস বায়ার্ন কর্ম অ্যাপটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ ছাড়াও তিনি বিশ্বের উদ্ভাবন এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সমস্যা সমাধানের জন্য গুগলের নেয়া ১২০টি কর্মসূচির কথাও তুলে ধরেন।
কর্মের লোকাল মার্কেটিং পার্টনার বুমেরাং ডিজিটালের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ কাশিফ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন ওই কর্মশালায়। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেকার সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে কর্ম। আমরা আমাদের মিশন নিয়ে খুবই আশাবাদী। সামনের দিনগুলোতে আমাদের অ্যাপসটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।
বুমেরাং-এর ব্যবস্থাপক আরমান হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে কর্ম অ্যাপসটির চালু হওয়ার মুহূর্ত থেকে আমরা এর সাথে যোগ দিতে পারায় খুবই গর্বিত। ‘কর্ম’ একটি বাংলা শব্দ। আমরা যদি এটিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষও আমাদের সম্পর্কে জানতে পারবে।‘
উল্লেখ্য, দেশের চাকরিখাতে গুগলের পরীক্ষামূলক অ্যাপ ‘কর্ম’ গুগলের এরিয়া ১২০ ইনকিউবেটরের পরীক্ষামূলক জব মার্কেটপ্লেস। এই প্ল্যাটফর্মটি মূলত ইনফরমাল চাকরির বাজারে কাজ করবে। কর্ম দু’টি ভাগে বিভক্ত, একটি হচ্ছে চাকরিপ্রার্থী অ্যাপ এবং আরেকটি চাকরিদাতা দেশের চাকরিখাতে গুগলের পরীক্ষামূলক অ্যাপ ‘কর্ম’ গুগলের এরিয়া ১২০ ইনকিউবেটরের পরীক্ষামূলক জব মার্কেটপ্লেস কর্ম। এই প্ল্যাটফর্মটি মূলত ইনফরমাল চাকরির বাজারে কাজ করবে। কর্ম দু’টি ভাগে বিভক্ত, একটি হচ্ছে চাকরিপ্রার্থী অ্যাপ এবং আরেকটি চাকরিদাতা অ্যাপ।
‘মেশিন লার্নিং’ ব্যবহার করে ‘বেস্ট ম্যাচ’ মডেলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চাকরিপ্রার্থীর সাথে গ্রহণযোগ্য চাকরির সংযোগ করে কর্ম এবং রয়েছে চাকরিপ্রার্থী ও নিয়োগদাতা উভয়ের জন্যই ‘টু-ওয়ে রেটিং সিস্টেম’। আগামী দিনে কর্ম- এর লক্ষ্য ইনফরমাল চাকরির বাজারে নির্দিষ্ট কাঠামো ও মেট্রিকস তৈরি করার পাশাপাশি সবার জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করা। চাকরিপ্রার্থীরা সাইন আপ করতে পারবে, তাদের সিভি তৈরি করতে পারবে এবং উপযুক্ত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবে। দক্ষতা ও ব্যক্তিগত উন্নয়ন বাড়াতে এই অ্যাপে বিষয়ভিত্তিক কন্টেন্টও থাকবে।
এই অ্যাপ সংশ্লিষ্টরা জানায়, ‘জব ম্যাচিং’ এবং ‘জব লিস্টিং’ সাইট থেকে কর্ম ভিন্ন, কারণ কর্ম নিয়মিতভাবে ব্যবহারকারীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং দায়িত্ব নেয় ‘জব ম্যাচিং’ থেকে আরও এগিয়ে গিয়ে চাকরির পোস্ট পরিপূর্ণ করতে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারভিউ উপস্থিতি, সফল নির্বাচন, সনদ প্রদান এবং চাকরিপ্রার্থীর অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করা প্রভৃতি। সময়ের সাথে, কর্ম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকরিপ্রার্থীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে সিভি তৈরি করে দেয়।
গত বছর থেকে কর্ম পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিক ব্যবহারকারীদের নিয়ে কাজ করছে এবং এখন পর্যন্ত ২১ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান করেছে এবং ১ হাজারেরও বেশি নিয়োগদাতাদের কর্মী নিয়োগে সহায়তা করেছে। কর্মের অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েডে গুগল প্লে থেকে ডাউনলোড করা যাবে এবং কর্ম বর্তমানে শুধুমাত্র বাংলাদেশের ঢাকাতেই সেবা প্রদান করছে।