ঢাকা ও চট্টগ্রামের পিচের কথা চিন্তা করেই ডারউইনে ছয়টি স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করেছিল নর্দান টেরিটরি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এনটিসিএ)। আর নিজেদের মন মত পিচ পেয়ে বাংলাদেশ সফরের আগে ভালোই প্রস্তুতি সেরে রাখলেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনাররা।
ডারউইনে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের শেষদিনে ছড়ি ঘুড়িয়েছেন স্পিনাররাই। দুই স্পিনারের দাপটে শেষ দিনে উইকেট পতন হয় ১৫টি। অ্যাগার ও হল্যান্ড দুজনেই নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট।
স্মিথ একাদশের হয়ে মাত্র ১১ বলেই ওয়ার্নার একাদশের চার উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার হল্যান্ড। তিনি অবশ্য বাংলাদেশ সফরের দলে নেই।
আগের দিন ১০৪ রান করে ইচ্ছাকৃত অবসরে গিয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। শেষদিনে আর সুবিধা করতে পারেনি ওয়ার্নার একাদশ। ৯ উইকেটে ১৮১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে তারা।
প্রথম ইনিংসে ওয়ার্নার একাদশ ৬ উইকেটে ৩৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। তার জবাবে ৬ উইকেটে ১৮১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে স্মিথ একাদশ। স্মিথের একাদশ শেষ ইনিংসে ১৪২ রানে গুটিয়ে গেলে ওয়ার্নার একাদশ ম্যাচ জেতে ২১২ রানে। স্পিনার মিচেল সোয়েপসন অপরাজিত থকেন ৩১ রানে। তার সমান রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
যাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা টাইগার ব্যাটসম্যানদের সেই নাথান লায়নও ভালো করেছেন শেষদিনে। ১০ ওভার বল করে ২৬ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন ডানহাতি স্পিনার।
স্পিনারদের দিনে জ্বলে উঠতে পারেননি কোনও ব্যাটসম্যানই। এক হল্যান্ডের বলেই রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন আগের ইনিংসে ৮১ রান করা হিলটন কার্টরাইট, অ্যাডাম জাম্পা, জ্যাক ওয়েদারহ্যাল্ড। প্রথম ইনিংসে শতরান করা পিটার হ্যান্ডসকম্ব করেছেন মাত্র ২ রান।
বাংলাদেশ সিরিজের দলে অ্যাগার থাকলেও নেই জন হল্যান্ড। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এইউ বলছে, বাংলাদেশ যেহেতু অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মতো একজন বাঁহাতি স্পিনার খেলাবে, তাই সাকিবের কার্যকরীতার কথা চিন্তা করে অজিদের পছন্দের তালিকায় জায়গা পাওয়া উচিত ছিল হল্যান্ডের।