চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের স্বস্তির দুই, অস্বস্তির এক

বড় কোনো আসরের আগেভাগে সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যই থাকে শেষমুহুর্তের ভুল-ত্রুটিগুলো বুঝে সেটা শুধরে নেয়ার চেষ্টা করা। বাংলাদেশের জন্য তেমন এক মঞ্চ হয়ে এসেছে আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ। যেখানে অপরাজিত থেকে ট্রফি জিতে কোন স্বস্তি-অস্বস্তিটা সঙ্গী হল টাইগারদের?

পঞ্চপাণ্ডবের বাইরেও লড়াইয়ের জন্য মজুত আছে সৈন্য
সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানটির নাম সৌম্য সরকার। তিন ফিফটিতে প্রথম কোনো বহুজাতিক লড়াইয়ের ট্রফি জয়ের ভিতটা গড়ে দেয়া তারই। সেই পথ ধরে বিধ্বংসী এক ফিফটিতে ফাইনাল জিতিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানও চেনারূপে ফেরার ঝলক দেখিয়েছেন। কঠিন লেন্থে বল করে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। হতাশ করেননি মোহাম্মদ মিথুন কিংবা লিটন দাসও।

সৌম্যর ব্যাটে ঝড়ের সঙ্গে ধারাবাহিকতা

মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- এই পঞ্চপাণ্ডবের বাইরে যে আস্তে আস্তে ম্যাচ উইনার তৈরি হচ্ছে, সেটার খানিকটা নমুনা পাওয়া গেছে ত্রিদেশীয় সিরিজে। বিশ্বকাপে ভালো করতে এই পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের বাইরেও বাকিদের দিয়ে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ।

আশ্বস্ত করেছেন মোসাদ্দেক, আবু জায়েদ রাহি
বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আবু জায়েদ রাহি ও লিটন দাসের অন্তর্ভুক্তিতে মোটামুটি একটা ফিসফাস শুরু হয়েছিল। ত্রিদেশীয় সিরিজের পর সেই ফিসফাসটা বন্ধ হয়েছে বলা যায়। রাহি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন, লিটন এক ম্যাচ খেলেই পেয়েছেন ফিফটি, আর মোসাদ্দেক তো জিতিয়েছেন ফাইনালই। দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান।

ভরসা দিচ্ছেন মোসাদ্দেক

তবে অন্তত একটা ম্যাচ আশা করতেই পারতেন বিশ্বকাপ দলের বাইরে থাকা চার ক্রিকেটার- তাসকিন আহমেদ, ফরহাদ রেজা, ইয়াসির আলী ও নাঈম হাসান। ত্রিদেশীয় সিরিজে দলে থাকলেও কোনো ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরেছেন চারজন। সবাই যেমন ফর্মে ছিলেন, সুযোগ পেলে হয়তো ভালো কিছুরই দেখা মিলতো তাদের কাছ থেকেও! তাতে রিজার্ভও বাজিয়ে দেখা হত।

ডেথ-বোলিং এখনো ভাবনার বিষয়
ত্রিদেশীয় সিরিজে মোটামুটি সবকিছু ইতিবাচক থাকলেও ডেথ ওভারে বোলিং নিয়ে এখনো অনেককিছু ভাবার বিষয় আছে বাংলাদেশের। রুবেল হোসেন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র একটি। তাই মোস্তাফিজের সঙ্গে ডেথ ওভারগুলোতে তার জুটি বাঁধা আপাতত বন্ধ।

অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কেবল দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই দেখা গেছে মোস্তাফিজ ঝলক। বাকি ম্যাচগুলোতে একদমই বিবর্ণ ছিলেন কাটার মাস্টার।

তবে রুবেলের জায়গায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ডেথ ওভারে বোলিংয়ে আসার জন্য সাহস দেয়া হচ্ছে। দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফী ও সাকিবও শেষদিকে বোলিং করার জন্য কিছু ওভার জমিয়ে রাখছেন। কিন্তু ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ যিনি সেই মোস্তাফিজের বিবর্ণটা চোখে পড়ছেই। তাই ‘ফিজের’ সঙ্গে সাইফউদ্দিনকেও ডেথ ওভারে কিছুটা খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা করতেই হবে।