বাংলাদেশ রেলওয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের রেলওয়ে কোম্পানিগুলো সহযোগিতা করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী। তিনি জানান বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি অর্থায়ন এখন ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে বেড়ে ৬২৫ মিলিয়নে পৌঁছেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে এসব কথা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফরে আসা রুশনারা।
৫ দিনের বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করতে রুশনারা আলীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ রোববার বেলা ১২ টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসে।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীক আন্তর্জাতিক আলোচনায় এখন প্রাধান্য পাচ্ছে মিয়ানমারের শরণার্থী রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট। বরাবর এই বিষয়ে সরব এই ব্রিটিশ সংসদ সদস্য এই বিষয়ে কিছু বলবেন এমনটা আশা করা হলেও এ বিষয়ে আজ কিছু বলেননি তিনি।
বেলা দেড়টায় বৈঠক শেষে রুশনারা সাংবাদিকদের বলেন,‘বাংলাদেশের অবকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা বুঝতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত হিসেবে এটি তার দ্বিতীয় সফর। রেলওয়ে, ব্রিজ এবং বিমানবন্দরের মতো অবকাঠামোকে প্রাধান্য দিচ্ছে এই প্রতিনিধিদল।’
এসব ক্ষেত্রে ব্রিটেনের প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘উপনিবেশকালীন সময় থেকেই ব্রিটেন এরকম অবকাঠামোখাতে কাজ করে আসছে বলে সবাই জানে। বিশেষ করে রেলওয়েখাতে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো স্বনামধন্য। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে রেলওয়েখাতে আমাদের কাজের ক্ষেত্র যাচাই করতে এই সফর।’
মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে অবকাঠামোখাতে উন্নয়ন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন,‘শুধু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত হিসেবেই নয় একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হিসেবে আমি চাই বাংলাদেশ তার এই লক্ষ্যে পৌঁছে যাক।’
সংক্ষেপে বৈঠক সম্পর্কে রুশনারা এসব কথা জানানোর পর উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আসা যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এলিসন ব্লেক বলেন,“নো কোয়েশচেন।”
পরে যুক্তরাজ্য দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এলিস ব্লেককে উদ্ধৃত করা বলা হয়,‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়তা বৃদ্ধি করতে চায় যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত হিসেবে রুশনারার এই দ্বিতীয় সফর এরই নিদর্শন।’