চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন টেলর

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব লুকানো এবং মাদকগ্রহণসহ আইসিসির ৪টি ধারা লঙ্ঘনের কারণে শুক্রবার সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। শনিবার এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেরিয়ে আসে ঘটনার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে টেলরকে ফিক্সিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছিল জুয়ারিরা। মার্চ মাসের ৩১ তারিখে জুয়ারির সাথে শেষবার টেলরের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানিয়েছে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনার পরেই প্রথমবার আইসিসির সাথে যোগাযোগে করেন টেলর। তবে আইসিসির পক্ষ থেকে টেলরকে জুয়ারির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলা হলে তিনি সকল প্রমাণ মুছে ফেলেন। এর কারণ হিসেবে টেলর আইসিসিকে জানান, পরিবারের ভয়েই সকল প্রমাণ মুছে ফেলেছেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে উল্লেখিত সিরিজে কোনো ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে টেলর যুক্ত ছিলেন না বলেও জানিয়েছে আকসু।

২০১৯ সালে স্পন্সরশীপ এবং জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টুয়েন্টি লিগ আয়োজনের বিষয়ে আয়োজনের বিষয়ে আলোচনার জন্য টেলরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানান ভারতের এক ব্যবসায়ী। তবে উক্ত ব্যবসায়ীর সাথে কোনো চুক্তির ব্যাপারে টেলরের এজেন্ট রাজি ছিলেন না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় আইসিসি।

তবুও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের দুরবস্থার কথা চিন্তা করে ভারত সফরে যান টেলর। সফরের শেষ দিনে ওই ব্যবসায়ী টেলরকে কোকেন খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালে সাড়া দেন জিম্বাবুইয়ান তারকা।

পরের দিন হোটেলরুমে আসেন ওই ব্যবসায়ীসহ আরও ৬ জন। মার্চে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে টেলরকে ফিক্সিংয়ের নির্দেশ দেন তারা। টেলর সে প্রস্তাব অস্বীকার করলে আগের রাতের কোকেন খাওয়ার ভিডিও টেলরের স্ত্রী এবং মিডিয়ার কাছে পৌছে দেয়ার কথা বলে ব্ল্যাকমেইল করেন তারা।

ভয়ের বশবর্তী হয়ে টেলর তখন রাজি হয়েছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আকসু। ফিক্সিংয়ের আগাম পারিশ্রমিক হিসেবে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার পেয়েছিলেন টেলর, যেটি বর্তমানে টেলরের এক বন্ধুর কাছে গচ্ছিত আছে বলে জানিয়েছে আকসু।

গত সোমবার দীর্ঘ এক টুইটার পোস্টে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন টেলর। হুমকির মুখে পরিবারের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে তৎক্ষণাৎ আইসিসিকে বিষয়টি জানাননি বলে সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি।

‘আইসিসিকে অভিযোগ জানাতে আমার ৪ মাস লেগেছে। জানি এটা অনেক বেশি সময়, পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে নিশ্চুপ ছিলাম। নিজেই আইসিসির সাথে যোগাযোগ করেছি এবং ভেবেছিলাম আমার পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করতে পারলে তারা বিলম্বের ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা বুঝতে পারেনি। তাই আমিও এ ব্যাপারে চুপচাপ থাকতে পারি না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমিও অনেক সেমিনারে অংশ নিয়েছি এবং জানি সময়মতো জানানো কতোটা জরুরি।’

এছাড়া ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের তিন দিন আগে টেলর আবার কোকেন নিয়েছিলেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে আকসু। এ ঘটনার জন্য আগেই তাকে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়ে হয়েছিল বলেও সেখানে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন টেলর।