বাংলাদেশের দেওয়া নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নিরাপত্তা পরামর্শক শিন ক্যারল। ঢাকা সফরের শেষ দিনে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক সেরে দুপুরে মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে আসেন তিনি। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে সন্তুষ্টির কথা জানান ক্যারল। আজ রাতেই তিনি অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
ক্যারল বলেন, ‘আমি নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে খুবই খুশি। কিন্তু এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। বললে সাধারণ মানুষ জেনে যাবে। আমি অবশ্যই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে বলবো যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দেয়া নিরাপত্তা পরিকল্পনা দেখে আমি সন্তুষ্ট। গত দুই দিন আমি সফল সময় কাটিয়েছি। আমার এই সফরে বিসিবি যে সহযোগিতা করেছে তাতে তাদের ধন্যবাদ।’
গত বছরের অক্টোবরে ইংল্যান্ড দলকে দেয়া সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেই আস্থা রাখছেন শিন ক্যারল। এর বাড়তি কিছু চাওয়া নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) এই নিরাপত্তা পরামর্শকের। বাংলাদেশের সবশেষ নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য দুদিনের সফরে ঢাকায় এসে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন ক্যারল। গতকাল মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
আসছে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আসার কথা অস্ট্রেলিয়া দলের। সিরিজের ভাগ্য লিখতে এসে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাবই দেখালেন ক্যারল, ‘দেখুন, আমি কিন্তু বলেছি যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে আমি খুশি। আমি আপনাদের এখনই কিছু বলতে পারি না। সিরিজ নিয়ে আমার যা সুপারিশ তা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকেই করবো।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রথম টেস্ট মিরপুরে আয়োজনের পরিকল্পনা আমরা রাখছি। দ্বিতীয় টেস্ট হবে চট্টগ্রামে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে যে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকেও সে অনুযায়ী নিরাপত্তা দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, এর বাইরেও যদি বাড়তি কিছু দিতে হয়, সেটিও তারা দিবেন।’
সব ঠিক থাকলে সফরের সূচিও নির্ধারণ হয়ে যাবে দ্রুতই। বিসিবি জানিয়েছে, কোরবানি ঈদের আগে প্রথম টেস্ট ও দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ঈদের পরে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিসিবির প্রস্তাবিত সূচিও এটি। কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে ১-৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া দলের। কিন্তু দেশটির সরকারের নির্দেশে সেই সফর স্থগিত হয়ে যায়।
তারই জেরে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকেও নাম প্রত্যাহার করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। গেল বছরের অক্টোবরে ইংল্যান্ড সিরিজ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক হয় সিএ।