বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপারে অপেক্ষা আর আক্ষেপ কলকাতার সুপার স্টার দেবের। বাংলাদেশের ফিল্মইন্ডাস্ট্রি অন্তর থেকে সাড়া দেয়নি বলে এখনও এদেশের বড় পর্দায় দেবের অভিনয় করার সুযোগ মেলেনি বলে জানিয়েছেন ওপার বাংলার সুপার হিরো দেব।
এদেশের সিনেমার বাজার দখল করলে এদেশের হিরোদের বাজার ধস হবে এই অজুহাতে অনেকেই বাংলাদেশের ছবিতে তার অভিনয়ের সুযোগ আটকে রেখেছে বলে আক্ষেপ করেছেন দেব।তবে কারও ক্ষতি করে তিনি বড় হতে চাননা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকে ছাপিয়ে দুই বাংলা তাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে নিজেদের স্বার্থে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমন বহু আশা ভরসার আলাপচারিতা নিয়ে বেশ খানিক সময় খোলা মেলা কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ সহ এই বঙ্গেরও বেশ প্রিয় মুখ দেব।
গল্প কিন্তু থেমে থাকেনি অভিনেতা দেবের দুই বাংলার অভিনয়কে কেন্দ্র করে। অভিনয়ের বাহিরেও যার আরও একটি পরিচয় আছে তিনি তৃণমুল কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তার নির্বাচনী এলাকা কলকাতার ঘাটাল জেলা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভীষণ প্রিয় লোকসভার তরুণ সদস্য দীপক অধিকারী দেব কথা বলেছেন তার রাজনীতির জীবন নিয়েও। জানালেন অভিনেতা হিসেবে প্রতিদিনই অনেক কিছু শিখলেও রাজনীতির ময়দানে এখনও বড় কাঁচা তিনি।
শতাধিক দেশের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ইন্টার পার্লমেন্টারি সম্মেলন আইপিইউতে যোগদান নিয়ে কথা বলেছেন অনেকখানি।এই সম্মেলন অভিনেতা দেবকে একজন দক্ষ সংসদ সদস্য হবার দরজা খুলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দীপক অধিকারী দেব।বিশ্ব রাজনীতি, সন্ত্রাসবাদ, শিক্ষা, দারিদ্র বিমোচন শিশু স্বাস্থ্যসহ আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন দেশের স্পীকারসহ সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জয়েন্ট পার্টারশীপের এই আয়োজন তাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন।
আইপিউ সম্মেলন নতুন সংসদ সদস্যদের বিশ্বরাজনীতি দরবারে শক্ত ভূমিকা রাখবে বলেও জানিযেছেন দেব। তবে যে কোন দেশের উন্নয়নের জন্য সে দেশের সরকারের পাশাপাশি তরুণদের শিক্ষিত এবং কর্মট হবার পরামর্শ দিয়েছেন দেব। উন্নয়নের জন্য শটর্কাট পথে না গিয়ে পরিশ্রমের বিকল্পনেই বলেও উপদেশ অভিনেতা ও তরুণ লোকসভার সদস্য দেবের।
তবে সব কথার ফাঁকে একটি কথায় বার বার বলছিলেন দেব বাংলাদেশ নিয়ে তার নানা দূবর্লতার কথা। তার মতে দুটি দেশের পাসপোর্ট শুধু নামের ভিন্নতা আছে কিন্তু ভালোবাসা আর সংস্কৃতি একই তাই যে কোন প্রয়োজনে তিনি কোন না কোন ছুতায় বাংলাদেশের জন্য কিছু করার সুযোগ খুজে বেড়ান।
কথা প্রসংঙ্গে জানান বাংলাদেশের কোন চ্যানেল কলকাতায় দেখা যায় না। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এদেশের চ্যানেল তার দেশে দেখাতে দেবের যদি কোন পক্ষ সহযোগিতা চায় তাহলে সবটা দিয়ে সাধ্যমত চেষ্টা করবেন।বারবারি ঘুরে ফিরে আসে তার অভিনয়ের কথা। জানিয়েছেন জাজ এ্র কর্ণদারের সঙ্গে তার এদফা বৈঠক হয়েছে। তবে বাংলাদেশে যদি তিনি ছবি করেন সেই ছবিই হবে দেবের সবচেয় সেরা ছবি যা দেবের আগে কোন অভিনেতা কিংবা দেব নিজেও করেনি এমন অভিনয়।
কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে। দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক উন্নত হবে এমনটা প্রত্যাশা থাকলেও তিস্তার ভবিষ্যত নিয়ে তার কোন মন্তব্য নেই বলেও জানিযেছেন তিনি।
এই নিয়ে তিনবার বাংলাদেশ সফরে আসা দেব যাবার সময় বাংলাদেশের মানুষকে তার পক্ষ থেকে জানাতে ভুলে যাননি আসছে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা।