চট্টগ্রাম থেকে: শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা এমনই। টেস্টে বাংলাদেশ একেক সময়ে একেক পেসার খেলানোয় নামের পাশে ম্যাচ সংখ্যা বাড়েনি তাদের। নিটক অতীতে সাদা পোশাকে খেলেছেন কিংবা এখন খেলছেন, এমন তালিকায় কারোরই অন্তত ২০ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। সবচেয়ে বেশি ১৪ টেস্ট করে খেলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও ইবাদত হোসেন।
আবু জায়েদ রাহি খেলেছেন ১৩ টেস্ট। তাসকিন আহমেদ ১১ টেস্ট। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি বাকিরা। অনেকের উপর নির্ভরতায় অনির্ভর হয়ে উঠেছে পেস আক্রমণ। এক্ষেত্রে অবশ্য চোটও অনেকটা দায়ী।
‘পেস বোলাররা যদি আরেকটু ভালো বোলিং পারত’ মুমিনুল হকের এ কথার সঙ্গে মিশে থাকল আক্ষেপের সুর। চট্টগ্রামের ন্যাড়া উইকেটে শ্রীলঙ্কান পেসাররা সফল হলেও বাংলাদেশের খালেদ আহমেদ-শরিফুল ইসলাম ব্যর্থ।
বাংলাদেশের দশটির মধ্যে সাত উইকেটই তুলে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই পেসার। স্বাগতিকদের খালেদ-শরিফুল পাননি কোনো সাফল্য। সব উইকেটই তুলতে হয়েছে স্পিনারদের।
দ্বিতীয় ইনিংসে শরিফুল চোটের কারণে বল হাতে নিতে পারেননি। পেস আক্রমণে একা ছিলেন খালেদ। এবারও উইকেটহীন তিনি। পেসারদের নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের আক্ষেপ থাকা তাই স্বাভাবিকই।
২৩ মে মিরপুরে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সেখানে খেলা হচ্ছে না শরিফুলের। ব্যাটিং করার সময় আঙুলে চিড় ধরায় চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছে তিনি। তাসকিন আহমেদ আগে থেকেই চোটে ভুগছেন।
দুই পেসার না থাকায় বাংলাদেশ আইপিএলে খেলতে থাকা মোস্তাফিজুর রহমানকে দলে চাইবে কিনা এমন প্রশ্নে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু বলেননি মুমিনুল। বাঁহাতি পেসারের ক্যারিয়ার ৬ বছরের হলেও মাত্র ১৪ টেস্ট খেলেছেন। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও টেস্টে অনভিজ্ঞই তাই পেস আক্রমণ।
‘জানি না মোস্তাফিজ কয়টা টেস্ট খেলেছে, সত্যি বলতে আমাদের দেশের কোনো পেস বোলারই অভিজ্ঞ না। ২০ টাও (ম্যাচ) হবে কিনা সবমিলিয়ে সন্দেহ আছে। মনে হয় অভিজ্ঞতাটাই ম্যাটার করছে এইখানে। আর মোস্তাফিজের বিষয়টাতে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে। ডিমান্ড (অধিনায়কের) বলতে যদি বোর্ড দেয় তাহলে অবশ্যই খেলবে।’
‘আসলে আপনার যেটা দেখতে হবে মোস্তাফিজ লাল বলে কতদিন খেলেছে। এখানে কিন্তু অনেককিছু নির্ভর করে। আর ফিটনেসের একটা ইস্যু থাকে। এখন যদি ওকে দরকার হয় তাহলে অবশ্যই খেলবে। দেখেন আমাদের ফ্রন্টলাইনার দুটো পেসার নেই, শরিফুল-তাসকিন। যখন প্রয়োজন হবে তবে অবশ্যই সে খেলবে।’