বাংলাদেশের নারী ফুটবলে কলসিন্দুর গ্রামের রূপকথা কারো অজানা নয়। বিশ্বগণমাধ্যমেও ওই গ্রামের অনেক মেয়ের একসঙ্গে ফুটবল খেলার কথা উঠে এসেছে। এবার ভারতেও এমন একটি গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেখানে একসঙ্গে অনেক মেয়ে হকি ঘিরে স্বপ্ন দেখে।
হিসাল ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার একটি গ্রাম। এই এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে বামপন্থী মৌলবাদীরা। তবু সব ধরনের প্রতিকূলতা পার করে প্রায় ৫০টি পরিবারের মেয়ে হকি নিয়ে মেতে থাকে।
ইতিহাস বলছে এই অঞ্চলের মেয়েরা হকিতে আলো ছড়াতে দক্ষ। এই গ্রামের মেয়ে মিডফিল্ডার নিকি প্রধান ২০১৬ সালে ভারতের অলিম্পিক দলে সুযোগ পান। ঝাড়খণ্ড হকি দলের হয়ে খেলেন গ্রামটির দুই মেয়ে রেশমা মিনজু এবং ডিফেন্ডার মুকতু মুণ্ডু। নিকির বোন শশী প্রধান জুনিয়র ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন।
এই বছর বিরশি মুণ্ডু, ইতিওয়ারি মুণ্ডু এবং রুকমিনি দোদরাই সাব-জুনিয়র ইন্ডিয়ান ক্যাম্পে ডাক পান। এতো গেল বড় অর্জনের কথা। স্থানীয়ভাবে আরও অনেক মেয়ে হকি খেলেন। তাদের স্বপ্ন নিকির মতো জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার।
নিকির আগেও তার বোন পুষ্পা প্রধান জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। তিনি এখন অবসরে। ২০০৪ সালে ভারতের এশিয়া কাপ জয়ী দলে ছিলেন তিনি।
হিসাল গ্রামের মেয়েদের হকি ঘিরে স্বপ্ন দেখান এক স্কুল শিক্ষক, দশরথ মাহতো। তিনি বিহারের হয়ে হকি খেলতেন। খেলা ছাড়ার পর মেয়েদের হকিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। অজপাড়াগায়ে শোনাচ্ছেন দিন বদলের গান।