নিউইয়র্কে গৃহকর্মীর বেতন না দেওয়ায় এক বাংলাদেশী কূটনীতিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জোর করে হুমকি দিয়ে এবং শারীরিক নির্যাতন করে গৃহকর্মীকে কাজে বাধ্য করার অভিযোগও তোলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
১২ জুন সকালে তাকে আটক করে নিউইয়র্ক পুলিশ। কুইন্স কাউন্টির অ্যাটর্নির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিবরণও রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, সোমবার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের (৪৫) বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন, শ্রমিক পাচার অভিযোগ আনা হয়। তিনি ডেপুটি কনসাল জেনারেল অব বাংলাদেশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।কুইনসের পাশেই জ্যামাইকা স্টেটে বসবাস করতেন তিনি।
ওই শ্রমিক যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর পরই অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম তার পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং তাকে দিয়ে দৈনিক আঠারো ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করান।
বিবিসি জানিয়েছে, অভিযুক্তকে ৫০ হাজার ডলার বন্ডে জামিন আদেশ দেয়া হয়েছে তবে তিনি এখনো মুক্ত হননি। আগামী ২৮ জুন তাকে আবারও আদালতে হাজির হতে হবে। তার বিরুদ্ধে সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছর জেল খাটতে হতে পারে তাকে।
বাংলাদেশী দূতাবাস কর্মকর্তা আনুমানিক ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত কোনও ধরনের অর্থ ছাড়াই একজন ব্যক্তিকে তার বাড়িতে কাজ বাধ্য করেন। এরপর মোহাম্মদ আমিন নামে ওই গৃহকর্মী গত বছরের মে মাসে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়।
কনস্যুলেট কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সবোর্চ্চ চেষ্টায় আছেন আইনি পদক্ষেপ মোকাবেলার জন্য।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান জানান, অভিযোগকারী ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এ ধরনের অভিযোগ করেছে, যা সত্য নয়
এর আগে ১২ জুনে নিউইয়র্কে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা পরিচয়দানকারী জাহিদ এফ সর্দার সাদীকে গ্রেফতার করেছে এফবিআই। ক্রেডিট কার্ড মেশিনে ব্যাংকের সাথে অর্থ প্রতারণা ও চেক চুরির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।