নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট সিনেটর, ইউএস কংগ্রেসে মাইনরিটি লিডার সিনেটর চাক শুমার বাংলাদেশি আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে বলেছেন: ‘আপনারা আমাকে সাপোর্ট দিন, আমি আপনাদের সঙ্গে থাকবো। আমাদের পার্টি সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের আসার সুযোগ বাড়াতে কাজ করবো।’
নিউইয়র্কের কুইন্সে তাজমহল পার্টি হলে নিউ অ্যামেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাব, নিউ অ্যামেরিকান ইয়থ ফোরাম ও নিউ অ্যামেরিকান উইমেন ফোরাম এন ওয়াই আয়োজিত বার্ষিক ডিনার পার্টিতে তিনি এসব কথা বলেন।
চাক শুমার বলেন: ‘আমি আনন্দিত-যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন শহরের চেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি নিউইয়র্কে আবাস গড়েছেন।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেন্টবিরোধী মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করে চাক শুমার বলেন: ‘যুক্তরাষ্ট্র বিনির্মাণে ইমিগ্রেন্টদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’
বাংলাদেশি আমেরিকানদের পক্ষে সিনেটর চাক শুমারকে স্বাগত জানান কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং।
গ্রেস মেং বলেন: মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশিরা বেশ ভালভাবেই জায়গা করে নিচ্ছে। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় কংগ্রেস ওম্যান ইভেত্তে ক্লার্কে -ইমিগ্রেন্টদের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
এ সময় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা বলেন: ‘বাংলাদেশ সরকার নারীর ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি দু’জনই নারী উল্লেখ করলে সিনেটর চাক শুমারসহ মূলধারার রাজনীতিবিদরা হাত উঁচিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালকে মুজিববর্ষ ঘোষণার কথাও উল্লেখ করেন কনসাল জেনারেল।
আয়োজকদের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন, নিউ অ্যামেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোর্শেদ আলম, ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডন্ট আহনাফ আলম এবং উইমেন ফোরামের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শিরিন কামাল।
পরে ডিনারের মাধ্যমে শেষ হয় বাংলাদেশি আমেরিকানদের মিলন মেলা।