চট্টগ্রাম থেকে: ‘বাংলাদেশকে ভালোবেসেছিলাম কিন্তু কিছু মানুষ তা বিশ্বাস করত না’-২০১১ বিশ্বকাপের পর আবার টাইগার ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়া জেমি সিডন্সের এই অনুযোগ থেকেই আঁচ করা যায় অতীতের বাস্তবতা। ২০১১ বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ান কোচকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে বিদায় করে দিয়েছিল বিসিবি।
চাকরি হারানোর পরও সিডন্সের হৃদয় থেকে বাংলাদেশ আলাদা হয়নি। বিসিবির কয়েকজন পরিচালক ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। পুরনো কর্মস্থলে ফেরার জন্য উন্মুখ ছিলেন। প্রায় এক যুগ পর ৫৭ বছর বয়সে তিনি এখন সাকিব-তামিমদের ব্যাটিং কোচ।
সিডন্সের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট আফগানিস্তান সিরিজ। যেখানে আফিফ-মিরাজ-লিটন-মুশফিকরা দারুণ ব্যাটিং করে এনে দিয়েছেন সাফল্য। সিরিজ জয়ের পর প্রথম এলেন গণমাধ্যমের সামনে।
ওয়ানডে সিরিজে নেই এমন চার টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটার-মুনিম-নাঈম-শহিদুল-মেহেদীকে নিয়ে শনিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আসেন সিডন্স। আরও ছিলেন ওয়ানডের একাদশে সুযোগ না আসা ইবাদত-শান্ত-জয়। আর কোচিংস্টাফের সকল সদস্য। কাজে নেমে পড়ার নামার আগে ব্যাটিং কোচ সিডন্স জানালেন তার বাংলাদেশের আসার কারণ। যেখানে পেশাদারিত্বের সঙ্গে রয়েছেন আবেগেরও যোগ।
‘বিশ্বের যেখানেই হোক আমি কোচিং করাতে প্রস্তুত ছিলাম। বাংলাদেশের জন্য আমি সহজলভ্য ছিলাম। কিছু কিছু বোর্ড পরিচালক ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ছিল। আমার সামনে একটা সুযোগ আসে বিসিবির এইচপি’তে (হাই পারফরম্যান্স) ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করার। যেখানে সব জুনিয়র ও জাতীয় দল অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। আমি পুরোটাই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। এটি পূর্ণসময়ের জন্য নাকি অন্য কিছু আমি নিশ্চিত ছিলাম না। তারপরও বিষয়টাকে গুরুত্বও দেইনি, এখানে কাজ করাই আমার জন্য বড় ব্যাপার।’
‘প্রথম মেয়াদে আসার পর, বাংলাদেশকে ভালোবেসেছিলাম কিন্তু কিছু মানুষ তা বিশ্বাস করত না। সেই কয়েকটা বছর এখানে খুব উপভোগ করেছি। এখানে ফিরতে মুখিয়ে ছিলাম, আশা নিয়ে ছিলাম সুযোগের সন্ধানে, সেটি পেয়েছি বলেই আজ আমি এখানে’-বলেন সিডন্স।
২০০৭-এর অক্টোবরে দায়িত্ব নিয়ে ২০১১-এর এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। সিডন্স থাকতে চেয়েছিলেন এরপরও। কিন্তু তার সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে রাজি হয়নি বিসিবি।