জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিনে বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সু-খবর এলো জাতিসংঘের কাছ থেকে। স্বল্পন্নোত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অাসার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ মিশনে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি-সিপিডি এই ঘোষণা সংক্রান্ত চিঠি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের হাতে তুলে দেন।
এতদিন ধরে যে দেশ স্বল্পন্নোত দেশের কাতারে ছিল মহান স্বাধীনতার মাসে সেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে জাতিসংঘের কাছ থেকে।
শুক্রবার নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাসুদের কাছে এই চিঠি তুলে দেন সিপিডি সেক্রেটারিয়েটের প্রধান রোলান্ড মোলেরাস।
১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সিপিডি জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এসময় মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের সামনে এগিয়ে চলার যে অনুপ্রেরণা বা স্বপ্ন সেটা কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকেই পেয়েছিলাম এবং তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওনার যে ভিশন তা কিন্তু বলেছেন। আমাদের মূল ভিশন কিন্তু রয়ে গেছে, একটি সোনার বাংলা বা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের যে স্বপ্ন সেটি দিয়েই কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের বৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২১, সামনে যদি আমরা আরো ভালো করতে পারি তাহলে দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার যে লক্ষ্য সেখানে পৌঁছে যাবো।
সিপিডি সেক্রেটারিয়েটের প্রধান রোলান্ড মোলেরাস তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের কাঙ্খিত বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সামাজিক খাতগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে সাহায্য করেছে বলে মন্তব্য করেছেন।