তামিম, সৌম্য, ইমরুল, মুমিনুল, সাকিব। চট্টগ্রাম টেস্টের টপ অর্ডারে টানা পাঁচ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ইতিহাসে মাত্র তৃতীয়বার, বাংলাদেশের প্রথম। তবে নিজেদের পছন্দের পিচে ব্যাট-বলের লড়াইকে বাঁ-হাতের খেল বানিয়ে ফেলতে পারেননি পাঁচ জনের কেউই। সৌম্য-মুমিনুল যা একটু লড়লেন, পরে লড়ে চা বিরতি পর্যন্ত গেছেন মুশফিক-সাব্বির।
সোমবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে মুশফিক ব্যাটিং নিলে উদ্বোধন করতে আসেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। অস্ট্রেলিয়ার এক পেসের ঘোড়া প্যাট কামিন্স আগের টেস্টের মতো অতটা ফণা তুলতে পারেননি। তবে নাথান লায়ন শুরু থেকেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন।
তাতে অতি-সতর্ক শুরুর পরও ছত্রখান বাংলাদেশের ইনিংস। তামিম ইকবাল (৯), ইমরুল কায়েস (৪) এবং সৌম্য সরকার (৩৩)। সকলকেই সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন লায়ন।
ফেরার আগে প্রতিরোধ গড়েছেন সৌম্য, সঙ্গী মুমিনুল। দুজনের যৌথ প্রযোজনায় এসেছে ৪৯ রান। পরে মুমিনুলের উইকেটও বাগিয়েছেন লায়ন। বহুল আলোচিত মুমিনুলের অবদান ৩১।
ব্যাটে-বলে প্রথম টেস্টের নায়ক সাকিব আল হাসানও বেশিদূর এগোতে পারেননি। টপ অর্ডারে টানা পাঁচ বাঁহাতির চক্র পূর্ণ করা সাকিব ফিরেছেন ২৪ রানে। উইকেটটি অবশ্য অ্যাগারের।
সেখান থেকেই পাল্টা প্রতিরোধ মুশফিক-সাব্বিরের। ৩৮ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন থেকে কাঠফাটা রোদ ছেড়ে চা পানে গেছেন দুজনে। টাইগার অধিনায়ক ২৯ ও সাব্বির ২৪ রানে সংগ্রহটাকে বড় করতে নামবে। বাংলাদেশ তাতে ১৫৫ থেকে এগোতে থাকবে ভালো একটা অবস্থান গড়তে।
আগে ম্যাক্সওয়েল দিনের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে স্লিপে তামিমকে জীবন দেন। কামিন্সের করা শর্ট অফ লেন্থের বলে ব্যাট দিতে যেয়ে কানায় লাগান টাইগার ওপেনার। বল চলে যায় তৃতীয় স্লিপে। ম্যাক্সওয়েল ঠিকমতো নিতে ব্যর্থ হন।
দশম ওভারের প্রথম বলে সহজাত ভঙ্গিতে একটু উঠে এসে লায়নকে মোকাবেলা করতে যেয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তামিম। চার ওভার বাদে সুইপ করতে যেয়ে পায়ে লাগান ইমরুল। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় অস্ট্রেলিয়া। আর ডিফেন্স করতে যেয়ে এলবি হয়ে ফিরতে হয় সৌম্যকে।
মুমিনুলকে এলবির ফাঁদে ফেলে নিজের চতুর্থ উইকেট নিয়েছেন লায়ন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা অজি অফস্পিনারের বল ব্যাকফুটে এসে খেলতে যেয়ে গড়বড় করে ফেলেন টাইগার বাঁহাতি। অ্যাগারের বাঁহাতি স্পিনে সেখানে ভেতরে ঢোকা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন সাকিব।
ছবি: সাকিব উল ইসলাম