জিম্মি হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়া এক দল নাবিক জানিয়েছেন মানবেতর জীবনের সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা।
জলদস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধার পাওয়া একজন নাবিক বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রাণে বাঁচার জন্য কখনও কখনও তাদের ইঁদুরও খেতে হয়েছে।
ফিলিপাইনের নাবিক আরনেল বালবেরো জানান , বন্দী অবস্থায় তাদের খুব সামান্য খাবার দেওয়া হতো। নারকীয় পরিবেশে তাদের মনে হতো মৃত্যুর সঙ্গে বসবাস করছেন তারা।
বালবেরো বলেন, জলদস্যুরা তাদের খুবই কম খাবার দিত। যে কারণে তারা ইঁদুর খেতেন। জঙ্গলে ইঁদুর রান্না করে খেতে হতো তাদের।
বিবিসিকে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যা পেতাম তাই খেতাম। ক্ষুধা পেলে আপনিও হাতের কাছে যা পাবেন তাই খাবেন।’
বালবেরো তার পাঁচ বছরের বন্দী জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন,বনে-জঙ্গলে বেঁচে থাকার ভয়ঙ্করা অভিজ্ঞতা তাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিচ্ছে। মুক্ত হয়েও এখন তিনি ভাবছেন স্বাভাবিক জীবনে তিনি কবে ফিরতে পারবেন।
২০১২ সালে একটি জাহাজের ২৬ জন নাবিককে জিম্মি করে সোমালিয়ায় নিয়ে যায় জলদস্যুরা। এই নাবিকেরা ছিলেন বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
প্রায় পাঁচ বছর বন্দী থাকার পর মুক্তিপণের বিনিময়ে শনিবার তাদের ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা। সিসিলিসের দক্ষিণ থেকে জাহাজসহ তাদের জিম্মি করে জলসদ্যুরা। ওই সময় একজন ক্রু নিহত হন।
জলদস্যুরা নাবিকদের জিম্মি করার এক বছর পর জাহাজটি ডুবে যায় এবং নাবিকদের সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ে দুজন নাবিক অসুস্থ হয়ে মারা যান।