ক্রমবর্ধমান মার্কিন-রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সম্পর্কে খানিকটা পানি ঢাললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন জানালেন রাশিয়া থেকে মার্কিন কূটনীতিকদের বহিস্কার করবেন না তিনি।
তবে মার্কিনীদের এই আচরণকে ‘প্ররোচনামূলক’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, এই ধরণের দ্বায়িত্বহীন কূটনীতি তিনি করবেন না। বহিস্কার হওয়া ৩৫ কূটনীতিক তাদের পরিবারসহ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবেন।
লিখিত বক্তব্যে পুতিন বলেন, আমরা আমেরিকান কূটনীতিকদের জন্য সমস্যা তৈরি করবো না। আমরা কাউকে বহিস্কার করবো না। রাশিয়া প্রতিশোধ প্রবণতাও নিবারণ করবে বলে জানান তিনি।
বরং তিনি ক্রেমলিনে আয়োজিত আসন্ন নতুন বছর ও ক্রিসমাস পার্টিতে একটি খোলা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আমেরিকার কূটনীতিকদের সন্তানদের।
পুতিন বলেন, বিষয়টা খুবই দু:খজনক যে ওবামা প্রশাসনের কাজ এভাবে শেষ হচ্ছে। আমি তাকে ও তার পরিবারকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ক্রেমলিন থেকে পুতিনের পাঠানো লিখিত বিজ্ঞপ্তিটি শেষ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যে দিয়ে। সেখানে তিনি এটাও প্রত্যাশা করেন যে তিনি আমেরিকার মানুষের জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবেন।
নতুন বছরে জানুয়ারির ২০ তারিখ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যাকিং এর মাধ্যমে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ৩৫ জন কূটনীতিককে বৃহস্পতিবার বহিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশত্যাগের জন্য তাদের ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়া হয়। নিউইয়র্ক ও মেরিল্যান্ডে রাশিয়ান গোয়েন্দা কাজে ব্যবহৃত দুটি ভবনও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানায় মার্কিন প্রশাসন।
ওয়াশিংটন ডিসি দূতাবাস ও সান ফ্রান্সিসকোর কনস্যুলেটে কর্মরত এই কূটনীতিকদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ (কোন বিদেশি ব্যক্তিকে দেশে প্রবেশে বা অবস্থান গ্রহণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা) ঘোষণা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং পরিবারসহ তাদের দেশ ছাড়ার জন্য সময় বেধে দেয়।
এছাড়াও নয়জন সত্ত্বাধিকারী ও ব্যক্তির উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রাশিয়ার দুইটি গোয়েন্দা সংস্থা (জিআরইউ ও এফএসবি), জিআরইউ’এর চারজন কর্মকর্তা এবং জিআরইউ-র সাইবার কাজে বস্তুগত সহায়তা দেয়া তিনটি কোম্পানি।