মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে পদবঞ্চিতরা। তাদের দাবি, এটি প্রহসন, হাস্যকর সিদ্ধান্ত। এখানে ‘মূল কালপ্রিট’দের কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে চ্যানেল আই অনলাইনকে এসব কথা বলেন পদবঞ্চিতরা।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগের গত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন: এটি প্রহসনের সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল সেটিও লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না। তদন্ত কমিটির কেউ আমাদের সাথে (যারা হামলার শিকার হয়েছি) কোনো যোগাযোগ করেনি। এটি মনগড়া সিদ্ধান্ত। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার সিদ্ধান্ত।
পদবঞ্চিত এই নেতা আরও বলেন, আমাদের উপর দু’দফা হামলা করা হয়েছে। মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় অনেক কেন্দ্রীয় নেতাও জড়িত ছিল। কিন্তু তাদের কিছুই করা হয়নি। অন্যদিকে হামলায় জারিন দিয়া আহতও হলো, তাকেই আবার বহিষ্কারও করা হলো। আমরা এর নিন্দা জানাই।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ না পাওয়া বঙ্গবন্ধু হলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান বলেন: এটি হাস্যকর সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে ব্যক্তিগত আক্রোশ প্রকাশ পেয়েছে। জারিন দিয়া ঐ দিন আহত হলো। অথচ তাকেই সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আবার যে সালমান সাদিককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো সে আরও আগে থেকেই ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত। আসলে সবই লোক দেখানো, তারা (সংগঠনের শীর্ষ নেতারা) নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলার ঘটনায় সংগঠনটির পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে জিয়া হল ছাত্রলীগ কর্মী সালমান সাদিককে। আর সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে- বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, জিয়া হল ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদুল কবির, কাজী সিয়াম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য জারিন দিয়াকে।