রীতিমত ভুতুড়ে অবস্থা যেন। ৪৮ হাজার ধারণ ক্ষমতার মাঠে দর্শক বলতে কেবল একজন, তার দেহে আবার প্রাণ নেই! প্রতীকী অর্থে এক মূর্তিকে দর্শক সারিতে বসিয়ে শূন্যতা পূরণের চেষ্টা চালানো হল। তাতেও খুব একটা কাজ হল না। খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয়া ছাড়াও যে ম্যাচে সমর্থকদের আরও নানা কাজে উপকারে লাগে, সেটাই সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টের পেলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা!
বিষয়টা খোলাসা করা যাক। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছে দর্শকহীনভাবে। বিশাল মাঠে শব্দ বলতে ব্যাট-বলের ঠুকঠাক, আর খেলোয়াড়দের একে অপরের উদ্দেশ্যে বলা কথা। এমনও হয়েছে ব্যাটসম্যান ছক্কা মারলে সেই বল কুড়িয়ে আনতে গ্যালারিতে ছুটতে হয়েছে ক্রিকেটারদেরই।
অদ্ভুত দৃশ্যটি ছিল নিউজিল্যান্ড ইনিংসের সময়। স্টিভেন স্মিথের বলে এত বড় এক ছক্কা মারলেন জিমি নিশাম, বল কোথায় গিয়ে পড়েছে সেটাই বুঝে উঠতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। আসন সারির নিচে বল খুঁজতে তাই গ্যালারিতে ছুটে আসতে হল তাদের। যারা মূল স্কোয়াডে ছিলেন না, তারাও লাগালেন খোঁজ। সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন গ্রাউন্ডসম্যানরাও। চেয়ারের নিচে তন্নতন্ন করে খুঁজে অবশেষে পাওয়া গেল বল। পাড়ার ক্রিকেটে ঝোপঝাড়ে বল পড়লে যে দৃশ্য দেখা যায়, এ যেন সেটাই। গ্যালারিতে দর্শক থাকলে এমন কষ্ট করতে হয় কখনো!
অস্ট্রেলিয়ার মাঠে এভাবে দর্শকহীনভাবে খেলার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। অজিদের ২৫৮ রানের বিপরীতে ১৮৭ করে অলআউট হয়ে ৭১ রানে ম্যাচ হেরেছে কিউইরা।
ম্যাচ শেষেও দেখা গেছে মজার এক দৃশ্য। ম্যাচের পর প্রতিপক্ষের সঙ্গে ক্রিকেটারদের হাত মেলানোর দৃশ্যটা পাল্টে গেছে করোনা ভাইরাসের কারণে। পরিবর্তে একে অপরের উদ্দেশ্যে হাততালি দিয়েছেন দুদলের খেলোয়াড়রা। হয়নি ফিস্ট বাম্পও। এমনকি ম্যাচে উইকেট পাওয়ার পরও সতীর্থের সঙ্গে হাত মেলাননি ক্রিকেটাররা।