ভারতের কৃষক আন্দোলন এখন আলোচনায়। কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশা এর আগেও একাধিকবার আলোচনায় এসেছে। কৃষকদের আত্মহত্যা, অভাব, ঋণের বোঝা টানার ঘটনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে বলিউডের বেশ কয়েকটি সিনেমাতেও। তেমনই কয়েকটি সিনেমা নিয়ে সাজানো হয়েছে ফিচার:
দো বিঘা জমিন: পরিচালক বিমল রায়ের ‘দো বিঘা জমিন’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৩ সালে। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলরাজ সাহনি, নিরূপা রায়, নাজির হুসেন, রতন কুমার। ছবিতে উঠে এসেছে কৃষকদের কষ্টের কাহিনী। তাদের জীবন, লড়াই, শোষণের গল্প তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।
মাদার ইন্ডিয়া: ১৯৫৭-তে মুক্তি পেয়েছিল ‘মাদার ইন্ডিয়া’। এই ছবিতে অভিনয় করেন নার্গিস, রাজকুমার, সুনীল দত্ত ও রাজেন্দ্রকুমার। মেহেবুব খানের ‘মাদার ইন্ডিয়া’ হিন্দি ছবির শতবর্ষের ইতিহাসের এক মাইলফলক। ‘মাদার ইন্ডিয়া’ ছবির গল্প আবর্তিত হয় রাধা নামে এক দরিদ্র ভারতীয় নারী কৃষকের জীবনকে ঘিরে। এই ছবির একটি স্মরণীয় দৃশ্য হলো, গরুর পরিবর্তে রাধা নিজেই লাঙল টানার মুহূর্তটি।
লগান: ২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল আমির খানের ‘লগান’। লগান-এর বাংলা খাজনা। মূল চরিত্র ‘ভুবন’ হিসেবে অভিনয় করেছেন আমির খান। কৃষকদের যাতে খাজনা না দিতে হয় সেই কারণে ইংরেজ শাসকদের ক্রিকেট খেলার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন ‘ভুবন’।
কিষাণ: ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কিষাণ’ ছবিতে কৃষকদের আত্মহত্যার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয় করেছেন আরবাজ খান ও সোহেল খান।
পিপলি লাইভ: আনুশা রিজভি পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১০ সালে। ছোট একটি গ্রামের নাম পিপলি। এ গ্রামের দুই গরীব কৃষক প্রবল খরার কবলে পড়লে ঋণ নিয়ে বিপদে পড়ে। এক রাজনৈতিক নেতা তাদের আত্মহত্যা করতে বুদ্ধি দেয়। এক সাংবাদিক পুরো ব্যাপারটা জেনে যায়। এ বিষয়ে গণমত গড়ে তোলার দায়িত্ব কাঁধে নেয়। এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসন আর মিডিয়ায় ঘটতে থাকে নানা কারসাজি। আমির খান প্রযোজিত ‘পিপলি লাইভ’ ছবিতে গুরুতর এইসব মানবিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে হাস্যরসের মধ্যে দিয়ে। -কইমই