চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বলিউড পাড়ায় শাহেদের ১২ বছর

বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক তারকা এসেছে আবার অনেক তারকা কালের পরিবর্তনে হারিয়ে গেছেন। তবে এমন কিছু তারকা রয়েছেন যারা দীর্ঘসময় বলিউডকে কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এরকম তারকাদের একজন চকলেট বয় ’শাহেদ কাপুর’। ৯ মে এ অভিনেতা পালন করলেন বলিউড ইন্ডান্ট্রিতে পা রাখার ১২ বছর।

অভিনয়ের ক্যারিয়ারের এদিনটিতে টুইটারে তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে টুইট করে শাহেদ বলেছেন ‘ আপনাদের সহযোগিতায় এবং ভালোবাসায় একটি যুগ শেষ করলাম। সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করবেন এভাবেই যেনো সবসময় আপনাদের পাশে থাকতে পারি’।

২০০৩ সালে রোমােন্টিক সিনেমা ‘ইশক ভিশক’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বলিপাড়ায় হাজির হন চকলেট ও রোমান্টিক নায়ক শাহেদ। জীবনের প্রথম ছবিতেই বাজিমাৎ। এই ছবিটির জন্য তিনি ফিল্মফেরায় সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেন। খুব কম অভিনেতাই আছে যাদের প্রথম সিনেমা সুপার হিট হয়।

এরপর শাহেদে দ্বিতীয় ছবি কারিনা কাপুরের সঙ্গে জুটিবদ্ধ সিনেমা ‘ফিদা’। ছবিটি ব্যবসা সফল না হলেও শাহেদ ও কারিনা কাপুরের রসায়ন দেখেছে দর্শক। ওই বছরেই শাহেদের আরেকটি রোমান্টিক-কমেডি সিনেমা ‘দিল মাঙ্গে মোর’ মুক্তি পায়। তবে সে ছবি দর্শক অতোটা পছন্দ করেনি। কঠিন সময় তিনি কাটিয়েছেন ২০০৫ সালে, তার চারটি সিনেমা মুক্তি পেলেও একটিও আলো মুখ দেখেনি।

অবশেষে ২০০৬ সালে আলোর ঝলকানি নিয়ে আসেন শাহেদের ক্যারিয়ারে। কারিনা কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করলেন ‘৩৬ চায়না টাউন’ ছবিতে। ছবিটি তেমন ব্যবসা সফল না হলেও গানগুলো হিট ছিলো। তখন থেকেই জমে ওঠে শাহেদ-কারিনার প্রেমের সর্ম্পক। সেই সর্ম্পকের পরেই সিনেমা ‘চুপকে চুপকে’ মুক্তি পায়, সিনেমাটি হিট হয়।

ওই বছরই শাহেদের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি ‘বিবাহ’। পারিবারিক এবং রোমান্টিক ছবিটি সুপারহিট হয়। ছবির পাশাপাশি গানগুলো আরও বেশি হিট হয়। ছবিতে শাহেদের বিপরীতে অভিনয় করেন তখনকার নবাগতা অভিনেত্রী অমৃতা রয়।

বলিউডে শাহেদ-কারিনা তখন লাভ বার্ড। সেই লাভ বার্ডকে নিয়ে পরিচালক ইমতিয়াজ আলী দর্শকদের উপহার দিলেন সিনেমা ‘জাব ওয়ে মিট’। ছবিটি ২০০৬ সালে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেরা চলচ্চিত্র। কিছুদিন পর ভাঙে শাহেদ-কারিনা জুটি।

২০০৮ সালে বিদ্যা বালানের সঙ্গে অভিনয় করলেন শাহেদ ছবি ‘কিসমাৎ কালেকশন’। বিদ্যা শাহেদের বয়সের হের ফের থাকায় দর্শক ছবিটি সেভাবে নেয়নি। সিনেমা ‘কামিনে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অন্যরকম শাহেদ দেখতে পায় দর্শক। প্রিঙ্কাংকা চোড়ারার সঙ্গে এই ছবিটিতে অন্যরকম ক্যামিস্ট্রি দেখতে পায় দর্শক। সেই বছর রানী মুখার্জির সঙ্গে ‘দিল বলে হারিব্বা’ ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন শাহেদ কাপুর। ‘চ্যান্স পে ড্যান্স’, ‘পাঠশালা’, ‘বদমাশ কোম্পানি’, ‘মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে’ ছবিগুলো মুক্তি পায়। কোনো সিনেমা হিট আবার কোনোটি ফ্লপ।

অভিনয়ের ক্যারিয়ারে ওঠা-নামার পর অবশেষে ২০১৩ সালে অ্যাকশন ও কমেডি ধাচের ছবি ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’ মুক্তি পায়। শাহেদের ড্যান্স ও অভিনয় দেখে আরও একবার মুগ্ধ হন দর্শক।

২০১৪ সালে আর রাজকুমার ছবিটি শাহেদের সুপারিহিট ছবি। সোনাক্ষির সঙ্গে শাহেদের রসায়নরে সুনাম করতে যেন একটুকু কৃপণতা করেনি বলিউড বোদ্ধাসহ দর্শকরা।

ওই বছর শাহেদের ক্যারিয়ারের আলোর ঝলকানি হয়ে আসে বিশাল ভদ্বরাজের সিনেমা ‘হায়দায়’। হায়দারের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের যেনো কোনো কমতি ছিলো না। সেরা অভিনেতার জন্য শাহেদ ফিল্মফেয়ারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন।

বর্তমানে শাহেদ বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করছেন। ছবিগুলো ২০১৫-১৬ দিকে মুক্তি পাবে বলে আশা করছেন শাহেদ।

দীর্ঘ ১২ বছরে বলিউডের বর্তমান সময়ের অন্যতম টপ হিরো চকলেট বয় শাহেদ বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আরো অনেক সিনেমা উপহার দিতে চান এবং দর্শকরে হৃদয়ের মনিকোঠায় থাকতে চান।