জাতিসংঘের পতাকা এবং নীল রংয়ের হেলমেট আর শান্তিরক্ষী বাহিনীর “স্বাভাবিক সুরক্ষা” কার্যক্রমের অনুমোদন থাকছে না। শান্তিরক্ষী বাহিনী এখন থেকে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করতেও দ্বিধা করবে না। জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুমকি মোকাবেলায় আক্রমণাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সৈন্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বলপ্রয়োগই হবে হামলাকারীদের বোঝানোর একমাত্র ভাষা।
গত পাঁচ বছরে শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রায় দুইশ সৈন্য নিহত হয়েছেন। বিশেষ করে আফ্রিকা মিশন বেশি বিপদজনক। এই পরিসংখ্যান যেকোন পাঁচ বছর মেয়াদের ইতিহাসের তুলনায় অনেক বেশি। এবং গত দুই দশকের মধ্যে সহিংস ঘটনায় কেবল ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সৈন্য নিহত হয়েছেন। কেবল এই বছরেই ৫৬ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, মিশনে সৈন্যদের সশস্ত্র গ্রুপ, সন্ত্রাসী, সুসংগঠিত অপরাধ, সড়ক প্রতিরোধ, অপরাধ, রাজনৈতিক সহিংসতাসহ অন্যান্য হুমকির মুখে পড়তে হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলো শত্রুরা বলপ্রয়োগ ছাড়া অন্যকোন ভাষা বুঝতে চায়না। হামলা ও হামলাকারী দমন এবং মোকাবেলার জন্য জাতিসংঘকে শক্তিশালী হতে হবে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করতে হবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জাতিসংঘ মিশনের সৈন্যদের নিরাপত্ত বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রধানের নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে সুপারিশ করা হয়েছে, প্রতিকূলতা মোকাবেলায় সৈন্য পাঠানোর আগে প্রশিক্ষণ বর্ধিতকরণ এবং আধুনিক উপকরণ প্রদাণ করতে হবে।
এছাড়া প্রত্যেক পর্যায়ের নেতৃত্বে উদ্যোগ, প্রতিশ্রুতি এবং দৃঢ়তা দেখাতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, বেশিরভাগ হামলার ঘটনা ঘটে মূলত নিষ্ক্রিয়তার কারণে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি মিশনই পূর্ণাঙ্গ এবং প্রতিটি দেশেই ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।
কিন্তু হস্তক্ষেপের নির্দেশনা, নিয়ম ও অংশগ্রহণে কখনো পরিবর্তন আনা হয় না। এবং নিষ্ক্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য নয়, পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্যান্য সহায়ক নথিও থাকবে।