বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ৩
কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের কারণে ফসলি জমি,
ঘরা, মাছের ঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী তীরের মানুষ।
গত মৌসুমে মেঘনার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা এবং দশ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়েছিল। সেসময় বহুআন্দোলনের পর ভাঙ্গন রোধ কল্পে একনেকে ২৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়। কিন্তু প্রকল্প পাস হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও ভাঙ্গন রোধে এখনো কাজ শুরু হয়নি।
এবার এ মৌসুমেই ইলিশা ইউনিয়নের ফেরীঘাট এলাকা থেকে রাজাপুরের জোড়াখাল পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুরু হয় ভাঙ্গন।
এলাকার মানুষরা বলছে, যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, আর কবে বন্যা হবে সেই আশায় থাকলে এলাকার মানুষরা বিলীন হয়ে যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, স্কুল-কলেজসহ রাস্তা ঘাট নদী ভাঙ্গনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙ্গনে ঘরহারা মানুষরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে দুই মাসের মধ্যে যেনো নদী ভাঙ্গনের সমস্যার সমাধান হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ইউনুস বলেন, বর্তমানে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, আশা করা যায় আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভিতরে প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা নদী ভাঙ্গনের কাজ আরম্ভ করতে পারবো।
তবে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি ইলিশা ও রাজাপুরবাসীর।