পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে। ৩০ চৈত্র ‘চৈত্র সংক্রান্তি’, বিদায়ী বাংলা সনের শেষ দিন। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে ১৪২১ বঙ্গাব্দ। নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে শুরু হবে নতুন বছর ১৪২২।
বর্ষবিদায়ে চলছে নানা আয়োজন। সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে হালখাতার আয়োজন। পুরানো ঢাকার শাঁখারি বাজার, জিন্দাবাজার ও বাবু বাজারের চলছে সংক্রান্তি উৎসব।
শাঁখারি বাজারের স্বর্ণের দোকান, শ্যামবাজারের মুদি দোকানগুলো, তাঁতি বাজার ও ইসলামপুরের কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়ীরা হালখাতার আয়োজন হয় বেশ ঘটা করে। এইদিনে নিয়মিত ক্রেতাদের নিমন্ত্রণ পাঠায় ব্যবসায়ীরা। তারা আশা করেন নতুন বছরের শুরুটা ভালো হিসাব দিয়েই শুরু করবে। দোকানে দোকানে চলে মিষ্টি খাওয়ার ধুম।
বর্ষবিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের মঙ্গল শোভাযাত্রা। হাজার বছরের বাংলা ঐতিহ্যের ধারক এই শোভাযাত্রা, পুরানোকে বিদায় বলে নতুনকে বরণ করে নেবে। এবারের শোভাযাত্রায় নতুনত্ত্ব আনতে ব্যস্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর সমস্ত প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বাঙ্গালি ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলা নকশী কাঁথা এবারের শোভাযাত্রার থিম।
তবে বর্ষবরণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে দিতে সুরের ধারা ও চ্যানেল আই আয়োজন করেছে ‘হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠানটি। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কোটি বাঙালির বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ উৎসব পালন করবে। ‘হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠানটি চারবছর ধরে সরাসরি সম্প্রচার করছে চ্যানেল আই।