বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে নানা ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) নারী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে। র্যালি বের হওয়ার আগে উপস্থিত নারী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে বহুবিধ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে দেশের নারী সমাজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য প্রদর্শন করছে, গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশ পুলিশে নারীর অন্তর্ভুক্তি ঘটে ১৯৭৪ সালে, মাত্র ১৪ জন নারীর যোগদানের মধ্য দিয়ে। তারা নারী পুলিশের যে প্রগতির সূচনা করেছিলেন তা আজ সাফল্য ও দক্ষতার মানদণ্ডে সুসংহত হয়েছে। বর্তমানে পুলিশে নারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৬৭ জন, যা পুলিশের মোট জনবলের প্রায় ৬.৬৬ ভাগ।
আইজিপি বলেন, আমাদের নারী পুলিশ সদস্যরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মত কঠোর দায়িত্ব পালনসহ অন্যান্য অপারেশনাল কাজে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাক্ষর রাখছেন। শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে তারা সকলের প্রশংসা অর্জন করেছে।
নানা ধরনের ফেস্টুন ও ব্যানারে সজ্জিত বর্ণিল র্যালিটি কার্জন হল মোড় প্রদক্ষিণ করে দোয়েল চত্বরে এসে শেষ হয়। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী র্যালির নেতৃত্ব দেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় চার শতাধিক নারী পুলিশ সদস্য র্যালিতে অংশ নেন।
নারী পুলিশের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব উন্নয়নের মাধ্যমে নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক। ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব উইমেন পুলিশ (আইএডব্লিউপি) এর অধিভুক্ত সংগঠনটি বাংলাদেশের নারী পুলিশের সফল প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।