চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বর্তমান সরকারের অভূতপূর্ব কাজ ই-টেন্ডার: রাজউক চেয়ারম্যান

১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক আসনে পরিণত হয়। ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা ০.২৮ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ১.২ মিলিয়ন হয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দ্রুত বেড়ে ওঠা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম এবং বর্তমানে জনসংখ্যা ১৬ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক রাজধানী ঢাকাকে পরিকল্পিত, বাসযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব শহরে পরিণত করার চেষ্টা করছে। বাসযোগ্য পরিকল্পিত শহর গড়ার লক্ষ্যে রাজউক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যার মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা, যাতায়াত সহজ করা এবং বড় আকারে জলাধার উম্মুক্ত স্থানে তৈরি যেমন, হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্প। মাষ্টারপ্ল্যান ১৯৫৯ অনুযায়ী ঢাকার প্রধান পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিলো ১৯৫৯ সালে ব্রিটিশদের মাধ্যমে। Minoprio, spencely and Macfarelane under the technical cooperation of the Colombo internation plan scheme পরিকল্পনা দৃঢ়ভাবে বিস্তার ঘটেছিলো ৮৩০ স্কয়ার কিলোমিটার পর্যন্ত ৩২০ স্কয়ার মাইল। অল্প জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ এক মিলিয়ন বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ গড়ে শহরের মধ্যে শতকরা এক দশমিক সাত পাঁচ ধরা হয়।

ব্যাপকভাবে শহর সম্প্রসারণ শুরু হয় উত্তর মিরপুর এবং টঙ্গীর দিকে। বিভিন্ন বিষয়বস্তু অনুসারে সাধারণ পরিকল্পনা বৃহৎ প্রধান পরিকল্পনায় এবং নগরায়ন সীমানার বিভিন্ন অঞ্চলে নির্দেশিত হয়। যদিও পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিলো ২০ বছরের জন্য। ১৯৫৯-১৯৭৯ কিন্তু নতুন পরিকল্পনা প্রয়োগ না হতেই এটা সর্বোচ্চ দ্বিগুণভাবেই শেষ হয়েছিলো ১৯৯৫ সালে। ঢাকার মেট্রোপলিটন উন্নয়ন পরিকল্পনা ১৯৯৫–২০১৫ অনুসারে উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য প্রকল্প নাম হলো– সাংগঠনিক পরিকল্পনার প্রস্তুতি এবং মেট্রোপলিটন উন্নয়নে বিস্তারিত সীমানা পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি পরিকল্পনার সাথে ঢাকা ব্যবস্থাপনা। এগুলো বাস্তবায়িত হয় যৌথ জাতীয় ঋণ ভাণ্ডার জিওবি এবং ইউএনডিপি/ইউএনসিএইচএস প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে– ম্যাক ডোনাল্ড লিমিটেড, কালপিন প্ল্যানিং লিমিটেড এবং স্থানীয় সংস্থার সহযোগে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পরিকল্পনার পরামর্শকারী লিমিটেড, কনসোসিয়েট লিমিটেড এবং উন্নয়ন প্রশাসন শাখা। প্রকল্পের নামকরণ হয়েছিলো ঢাকার নগরায়ন পরিকল্পনার ঘটনার ৩টি ভৌগোলিক পর্যায়ে, সহযোগী অঞ্চল, নগরায়ন এবং সহযোগী নগরায়ন উন্নয়ন পরিকল্পনা।

ঢাকার গাঠনিক পরিকল্পনা ১৯৯৫-২০১৫: বৃহৎ ঢাকার সাব জোন ১৫ মিলিয়ন জনসংখ্যাকে টার্গেট রেখে দীর্ঘমেয়াদী দক্ষ পরিকল্পনার প্রতিনিধিত্ব করে। নির্ধারিত স্কেল ম্যাপে প্রমাণাদির কর্মসূচি এবং তত্ত্বগুলো পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসে। প্রয়োজনীয় সকল পরিকল্পনার বিষয়কে বিবেচনা করে বর্ধিত নগরায়নের গতিপথকে আগেই নির্ধারণ করে প্রভাব বিস্তার করে এবং বৃহৎ নীতি নির্ধারণ করে। বর্তমান নগরায়ন অবস্থা এবং ঢাকার ক্ষুদ্র পরিবেশ মনোযোগের সাথে ভেবে ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য সকল পরিবেশ এবং মনুষ্য বিশৃঙ্খলা থেকে ঢাকাকে মুক্ত রাখে। চারিপাশের পুকুরের সংখ্যা এবং বৃষ্টির পানি পরিকল্পনার মধ্যে ধরে রাখা হয় যেন পরিবেশের মধ্যে সাম্যতা রক্ষা পায় এবং সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়। এই পরিকল্পনার মধ্যে কিছু ভালো এবং টেকসই উন্নয়ন রয়েছে। এবং নীতির মধ্যে সবুজ বেষ্টনী ভেতরের এবং চারিদিকে নদী সংরক্ষণ এবং এগুলোর নিয়মিত খনন ইত্যাদি রয়েছে। এভাবে নগরীর চারিদিকে একটি পানিপথ তৈরির সুপারিশ আছে ঐ নীতিতে।

নগরায়ন সীমানা পরিকল্পনা ১৯৯৫-২০০৫: বৃহৎ ঢাকার সাব জোন ১৫ মিলিয়ন জনসংখ্যাকে টার্গেট রেখে দীর্ঘমেয়াদী দক্ষ পরিকল্পনার প্রতিনিধিত্ব করে। নির্ধারিত স্কেল ম্যাপে প্রমাণাদির কর্মসূচি এবং তত্ত্বগুলো পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসে।প্রয়োজনীয় সকল পরিকল্পনার বিষয়কে বিবেচনা করে বর্ধিত নগরায়ণের গতিপথকে আগেই নির্ধারণ করে প্রভাব বিস্তার করে এবং বৃহৎ নীতি নির্ধারণ করে। বর্তমান নগরায়ন অবস্থা এবং ঢাকার ক্ষুদ্র পরিবেশ মনোযোগের সাথে ভেবে ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য সকল পরিবেশ এবং মনুষ্য বিশৃঙ্খলা থেকে ঢাকাকে মুক্ত রাখে। চারিপাশের পুকুরের সংখ্যা এবং বৃষ্টির পানি পরিকল্পনার মধ্যে ধরে রাখা হয় যেন পরিবেশের মধ্যে সাম্যতা রক্ষা পায় এবং সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়। এই পরিকল্পনার মধ্যে কিছু ভালো এবং টেকসই উন্নয়ন রয়েছে। এবং নীতির মধ্যে সবুজ বেষ্টনী ভেতরের এবং চারিদিকে নদী সংরক্ষণ এবং এগুলোর নিয়মিত খনন ইত্যাদি রয়েছে। এভাবে নগরীর চারিদিকে একটি পানিপথ তৈরির সুপারিশ আছে ঐ নীতিতে।

সড়ক উন্নয়ন: দক্ষ সড়ক উন্নয়নের ডিএমডিপি’র দীর্ঘমেয়াদী গাঠনিক পরিকল্পনার দৃষ্টান্তের লিংকসমূহ উপরে দেয়া হলো। উন্নতিবিধান প্রবেশাধিকারে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ দ্বারা নিজস্ব প্রধান নগরায়ণ সীমানা এবং সীমানার সংযোগ সম্ভাবনা বর্ধনের জন্য দক্ষতার প্রধান বিষয় মেট্রোপলিটন সীমানার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত করে যা কার্যকরভাবে ক্রমবর্ধমান নগরায়ন কেন্দ্রীয়করণের প্রয়োজনে কাজ করছে। ডিএমডিপি’র গাঠনিক পরিকল্পনার প্রস্তাবিত ক্রমবর্ধমান নগরায়ন সীমানা প্রবর্ধনের জন্য সুস্পষ্ট কার্যসাধন হিসাবে উন্নততর সড়ক যোগাযোগ ব্যবহৃত হবে। সংযোগ ব্যবস্থাকে মূল্যায়ন করে এটা খুবই গুরুত্বের সাথে ভাবা হয় এবং এই সেকশনের মধ্যে সুনিদিষ্টভাবে উন্নয়নের পর্যায়ক্রমতার ব্যবস্থাপনা ও অর্পণ করা হয়।

পাবলিক পরিবহন সেবার উন্নয়ন: তাদের পদ্ধতির মূল্যায়নের মাধ্যমে ডিআইটিএস’র টিডিএস ট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির ৬ অত্যাবশ্যকীয় প্রকল্প শোধিত হয়। দুটি প্রকল্প উন্নত পাবলিক পরিবহন সম্পর্কিত, যেমন- বাস এবং রেল যোগাযোগ।

মেট্রোপলিটন ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকল্পনা একত্রিকরণ: ঢাকা বর্ধনের গাঠনিক পরিকল্পনা এবং বিকল্পপন্থার পরিবহন ব্যবস্থা একটা প্রধান ভূমিকা পালন করে। এই মুহূর্তে ঢাকা সবচেয়ে কম মটরচালিত যান শহরগুলোর মধ্যে একটি।মটরবিহীন যানই এখানে নগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় প্রধান ভূমিকা পালন করছে। মটরচালিত যান পরিভ্রমণের জন্য তুলনামূলকভাবে কম। ঢাকার আন্ত:পরিবহন চর্চা ব্যবস্থার শতকরা প্রায় ৬৬% পায়ে হেঁটে হয়। পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থা খুবই দুর্বল, অসংগঠিত, অপ্রতুল এবং মটরবিহীন পরিবহন দীর্ঘ দূরত্বের জন্য পর্যাপ্ত নয়। কর্মক্ষেত্র এবং বাসস্থান কাছাকাছি হওয়ায় সচলতা পর্যায় খুব নিম্ন মানের। রাজউক এর বাস্তবায়িত আবাসন প্রকল্প গুলো-গুলশান রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউন, বনানী রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউন, বারিধারা রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউন, উত্তরা রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউন (১ম এবং ২য় সেক্টর), উত্তরা রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউন ১ম এবং ২য় সেক্টর।

রাজউক এর পুনর্বাসন প্রকল্পগুলো- বাড্ডা পুনর্বাসন এরিয়া, গেন্ডারিয়া পুনর্বাসন এরিয়া, জুরাইন আই.জি বাগান পুনর্বাসন এরিয়া, জোয়ারসাহারা পুনর্বাসন এরিয়া উত্তর নিকুঞ্জ। রাজউক এর বাস্তবায়িত বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলো হলো-দিলকুশা বাণিজ্যিক এরিয়া, কারওয়ান বাজার বাণিজ্যিক এরিয়া, মহাখালী বাণিজ্যিক এরিয়া আই.সি বিস্তৃত এরিয়া, গুলশান চত্ত্বর-১ এবং ২ বাণিজ্যিক এরিয়া, বনানী বাণিজ্যিক এরিয়া, জোয়ারসাহারা বাণিজ্যিক এরিয়া, নওয়াব ইউসুফ মার্কেট বাণিজ্যিক এরিয়া, ডিআইটি এভিনিউ বাণিজ্যিক এরিয়া, উত্তর পূর্ব সড়কের বাণিজ্যিক এরিয়া, নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা বাণিজ্যিক এরিয়া নারায়ণগঞ্জ, চাষাড়া, বোয়াতখাল এবং খানপুর বাণিজ্যিক এরিয়া নারায়নগঞ্জ।

রাউজক এর শিল্পকলকারখানা সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়িত প্রকল্প হলো- টঙ্গী শিল্পকলকারখানা এরিয়া, সিমপুর, কদমতলী শিল্পকলকারখানা এরিয়া, পোস্তগোলা শিল্পকলকারখানা এরিয়া। রাজউক এর বাস্তবায়িত সড়ক তৈরির প্রকল্প – ডিআইটি প্রকল্প, উত্তর দক্ষিণ সড়ক, মালিবাগ রামপুরা সড়ক, মগবাজার তেজগাঁও শিল্পকলকারখানার এরিয়ার সড়ক, ধোলাইখাল রোড, মহাখালী গুলশান সড়ক পান্থপথ কেন্দ্র, পান্থপথ পূর্ব, পান্থপথ পশ্চিম, বিজয়সরনী রোকেয়া সড়ক থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত, প্রগতি সরনী সায়েদাবাদ থেকে মালিবাগ পর্যন্ত, ওয়ারী খাল রোড, বিপনন বাংলা মটর রোড, সিরনিরটেক মিরপুর রোড, গুলশান এভিনিউ, মাদানী এভিনিউ, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, জাতিসংঘ রোড, পার্ক রোড, বঙ্গবন্ধু রোড নারায়ণগঞ্জ, নওয়াব সলীমুল্লাহ রোড নারায়ণগঞ্জ, শহীদ সোরওয়ার্দী রোড নারায়ণগঞ্জ, নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা রোড নারায়ণগঞ্জ, ঈশা খান রোড নারায়ণগঞ্জ।

বাস্তবায়িত রোড উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে- পৌরসভার জনসন রোড, টিপু সুলতান রোড, হাটখোলা রোড, অভয় দাস লেন, টয়েনবি সার্কুলার রোড, পার্ক এভিনিও রোড, সিদ্ধেশ্বরী রোড, আউটার সার্কুলার রোড। রাজউক এর বাস্তবায়িত সামাজিক প্রকল্প হলো-উত্তারর আরএমটি, স্বামীবাগ এবং নারায়ণগঞ্জ স্কুল এবং কলেজ তৈরি, শিল্পকলা একাডেমী তৈরি, আম্বরশাহ্ মসজিদ, গুলশান দক্ষিণ মসজিদ, বনানী মসজিদ, বনানী স্মৃতিস্তম্ভ এবং আরএমটি তৈরি।

বাস্তবায়িত পার্ক এবং খেলার মাঠ- বাহাদূর শাহ পার্ক, নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা পার্ক, বঙ্গভবনের সামনের পার্ক, পাক বাগিচা মুক্তাঙ্গন জিপিওর কাছাকাছি, আর্মানিটোলা পার্ক, গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং উত্তরার আরএমটির পার্ক এবং খেলার মাঠ। বাস্তবায়িত রাজউক এর ফোয়ারা- বঙ্গভবন এবং রাজউক ভবনের সামনের ফোয়ারা, বিজয় সরনী, হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনের সার্ক ফোয়ারা, গুলশান উত্তর মার্কেটের সামনে, আম্বরশাহ্ মসজিদের সামনে কাওরান বাজার, শেরাটন হোটেলের কাছাকাছি মিন্টু রোড। রাজউক এর বাস্তবায়িত বিল্ডিং এপার্টমেন্ট -রাজউক ভবন এবং বাড়তি ভবন সংযোজন, 42 nos. 5 storied Apartments at Banani, মালিবাগ, বনানী, উত্তরার আর.এম.টি, বাড্ডার স্টাফ কোয়ার্টার এবং চেয়ারম্যান বাংলো গুলশান।

বর্তমানে রাজউক এর চলমান আবাসন প্রকল্পগুলো হলো- ইউসুফগঞ্চ এবং রূপগঞ্চের পূর্বাচল শহর, উত্তর রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউন ৩য় সেক্টর, বিস্তারিত সীমানা ডিএপি প্রকল্প, ঝিলমিল রেসিডেনসিয়াল প্রকল্প। রাজউক এর চলমান বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলো- সোনারগাঁও এবং কারওয়ান বাজারের কাছাকাছি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স প্রকল্প, হাতির ঝিল এরিয়া, বেগুন বাড়ি উন্নয়ন প্রকল্প। রাজউকের চলমান রাস্তার অবকাঠামো- প্রধান গেট রমনা এবং নটরডেম কলেজ মতিঝিল এর মধ্যকার লিংক রোড, দয়াগঞ্জ এবং জুরাইনের মধ্যকার লিংক রোড, পূর্ব পান্থপথ থেকে রামপুরা ব্রীজের লিংক রোড, গুলশান চত্ত্বর ১ থেকে প্রগতি সরনীর লিংক রোড। রাজউক এর তথ্য ব্যবস্থাপনার সিষ্টেমগুলো-রাজউকের নিয়মিত কার্যক্রম কম্পিউটার সহযোগে করা, এক নজরে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্যের নিশ্চয়তা, রাজউকের স্থানীয় অফিসের মধ্যে নেট যোগাযোগ নিশ্চিত করে, রাজউক E–Coherence (ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরকার ব্যবস্থা) বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা এবং দক্ষতা তৈরি করে, পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপে সহজবোধ্যতা তৈরি করে, অর্গানাইজেশনের সকল শাখার মধ্যে তথ্যীয় সেতুবন্ধন প্রতিষ্ঠা করে, Establish information- bridge among all departments of organization. রাজউক এর অন্যান্য চলমান প্রকল্প- গুলশান বনানী বারিধারার লেক উন্নয়ন, নিকুঞ্জ লেক উন্নয়ন, উত্তরা লেক উন্নয়ন, বনানী পার্ক উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি।

রাজউক এর ভবিষ্যত আবাসন প্রকল্পের মধ্যে আছে- রিমঝিম রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউন ২য় সেক্টর প্রকল্প, উন্নয়নকৃত নতুন উপশহর গাজীপুর, রিমঝিম হাউজিং প্রকল্প ডি.এন.ডি সীমানা, সাভারের ধামসোনা রেসিডেনশিয়াল সীমানা, শহরকে সংযুক্ত করে একত্রিত করে পূর্ব প্রান্তের মধ্যে পূর্ব বারিধারা, আশ্রয়হীনদের জন্য নির্ভেজাল আবাসভূমি। বহুতল বিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং অফিস রাজুকের বিচারাধীনে, Construction of Multistored car parking cum office building within the RAJUK’s jurisdiction (at Motijheel).

রাজউক এর ভবিষ্যত সামাজিক অনুষ্ঠান প্রকল্পগুলো- মাদানী এভিনিউ এর বিস্তার, ইন্দিরা রোড থেকে পান্থপথ পর্যন্ত লিংক রোড প্রসারণ, বাসাবো কদমতলী থেকে মানিকদী পর্যন্ত রাস্তা তৈরি, মালিবাগ মোড় থেকে জনপথ পর্যন্ত লিংক রোডের বিস্তার, আশুলিয়া বিনোদন কেন্দ্র, পূর্বাচল নতুন শহরের গলফ খেলার উন্নয়ন প্রকল্প, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় ইসলামী কেন্দ্র, বিভিন্ন উপযোগী জায়গায় স্থায়ী পরিদর্শন হল, নগরায়ন উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা এবং পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রকল্প, বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরি, Construction of Health Complex at different places, বিভিন্ন গোত্রের জন্য সমাধি ফলক এবং গোরস্থান তৈরি,  রাজউক এর ভবিষ্যত ভবন এপার্টমেন্ট, Construction of 15 stored 260 nos. রেসিডেনশিয়াল এপার্টমেন্ট ভবন উত্তরা রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউন ৩য় সেক্টর, পূর্বাচল নতুন শহরে বর্ধিত উচু ভবন তৈরি, টিকাটুলী, মগবাজার, মহাখালী ইত্যাদি জায়গায় বহুতল ভবন তৈরি, Multistoried building at Tikatuli, Moghbazar, Mohakhali etc. ঝিলমিল, উত্তরা, আরএমটি, পূর্বাচল ইত্যাদি জায়গায় বহুতল বিশিষ্ট এপার্টমেন্ট তৈরি।

বর্তমান সরকারের অভূতপূর্ব কাজ ই- টেন্ডার এমনটাই মনে করেন রাজউকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, রাজউক মূলত তিনটা কাজ করে। প্রথম কাজ হলো রাজউক রাজধানী ডেভলপড বা উন্নয়ন করে। আরেকটি কাজ হলো রাজউক ডেভলপমেন্ট কন্ট্রোল করে। আর প্ল্যানিং করে। রাজউক আওতাধীন ঢাকা সিটিতে আমাদের ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার জায়গা আমাদের। এই জায়গার মধ্যে কি ধরণের কাজ হবে? রাজউক তার প্ল্যান করবে যে, কোথায় কি হতে পারে? শহর ডেভলপমেন্টের জন্যে কি করা লাগবে? এবং শহরের কি কি ডেভলপ করা যায়? এছাড়া ডেভলপমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করবে রাজউক। আমরা যে সব উন্নয়নের কথা বলবো এই উন্নয়নের বাইরে নিয়ম বহির্ভূত কোন কাজ যেন না হয়। এই তিনটি কাজ মূলত রাজউক করে থাকে। ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান ড্যাপ এটি রাজউক করে থাকে।

‘এই প্ল্যানে রাজধানীর কোন জায়গায় কি হবে? কোথায় বাণিজ্যিক হবে, কোথায় আবাসিক হবে? কোথায় শিল্পকলকারখানা হবে- কোথায় কি হবে, এই সব প্ল্যান রাজউক করবে। এই দায়িত্ব শুধু রাজউকের, অন্য কোন সংস্থার না। এই তিনটি কাজ বর্তমানে রাজউক সাকসেসফুলি করে যাচ্ছে। যারা অনুমোদনের বাইরে ভবন করেন এই বিল্ডিংগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। ভবন কয়তলা পর্যন্ত অনুমোদন পাবে তা রাজউক নির্ধারণ করে। অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করতে আমাদের বিশেষ সেল আছে। তারা নিয়মিতভাবে এইসব ভবন চিহ্নিতের কাজ করে এবং অভিযান পরিচালিত হয়। এটি রাজউক এর রুটিন কাজ। এই কাজ নিয়মিতভাবে আমরা করি।’

মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের কিছু আছে অভূতপূর্ব। বিশেষ করে আপনি বললেন ই-টেন্ডার। এর ফলে কিন্তু আগের মতো টেন্ডারবাজি কোথাও নাই? যেমন, আমাদের রাজউক ২০১৭ সালের জানুয়ারী থেকে আমরা শুরু করেছি এক শত ভাগ ই-টেন্ডার আমাদের। এখনো ইনশাল্লাহ্ ওইভাবেই চলছে। আমরা পুরান ঢাকা নিয়েও চিন্তা ভাবনা করছি যে, পুরান ঢাকার কিছু কিছু জায়গা আমরা রি-ডেভলপমেন্ট করে- তাতে আমরা আধুনিক ছোঁয়া লাগাতে পারি কিনা? এর জন্যে আমাদের ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের সাথে আমি কয়েকবার কথাও বলেছি- তার সাথে বৈঠকও করেছি। রাজউক থেকে আমি একটা প্রপোজালও দিয়েছিলাম। অবৈধ স্থাপনা ও পাকিং উচ্ছেদে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। হাসপাতালকেও আমরা ছাড় দেই না। তারা যেন পার্কিং এরিয়া কনফার্ম করে এই ব্যাপারে আমরা হাসপাতালগুলো চাপ দিচ্ছি। সরকার থেকে আমি প্রচণ্ড সহযোগিতা পাচ্ছি।