সোমবার উদযাপন করা হবে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের বই উৎসব। উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে চার কোটি প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি, দাখিল ভোকেশনাল, এসএসসি ভোকেশনাল, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠী এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
এরমধ্যে শুধু প্রাথমিকের (প্রাক-প্রাথমিকসহ) শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই কোটি ৪৯ লাখ ৮৩ হাজার ৯৯৩ জন। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ কোটি ৩৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৮০টি বই মুদ্রণ করা হয়েছে। আর প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৮২৪টি বই আমার বই এবং সমান সংখ্যক অনুশীলন খাতা মুদ্রণ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক ভাষায় (চাকমা, মারমা, গারা, ত্রিপুরা, সাদরি) প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৩৪ হাজার ৬৪২টি বই ও সমান সংখ্যক অনুশীলন খাতা এবং প্রথম শ্রেণির জন্য ৭৯ হাজার ৯৯২টি বই মুদ্রণ করা হয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বই মোট ২৪টি জেলায় বিতরণ করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বই বিতরণ শাখা সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। এ নিয়ে টানা নবমবারের মত সরকার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিচ্ছে।
এ বছরও পৃথকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করবে।
এনসিটিবির আয়োজনে ১ জানুয়ারি সকালে আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মাধ্যমিক স্তরের বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এই উৎসবে রাজধানীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেবেন।
১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক স্তরের বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় উৎসব হলেও বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবের মধ্য দিয়ে বই বিতরণ করা হয়। সেসব উৎসবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে থাকেন।