চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বর্জ্য অপসারণে মেয়রের আশার বাণী বাস্তবে পরিণত হোক

গত বছরের মতো এবারও কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণে সাফল্য দাবি করেছে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক অসুস্থ হয়ে বিদেশের একটি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ নিয়ে ঈদ উল আজহার পরের দিন বিস্তারিত তুলে ধরেন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। তার দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুই সিটির ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ করা হয়েছে। তিনি জানান, এবার ঢাকায় ২২ হাজার টন বর্জ্য জমেছিল। আমরা জানি এ এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রায় তিন মাস আগে থেকে শুরু হয়েছিল এর প্রস্তুতি। মেয়র নিজেই জানিয়েছেন, প্রায় ১৭ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তবে এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সফলতা শতাংশের হিসাবে না মেপেই এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই। আমরাও স্বীকার করছি কিছু কিছু এলাকায় সম্পূর্ণভাবে বর্জ্য  অপসারণ করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। কিন্তু তাদের আন্তরিকতা ছিল চোখে পড়ার মতো। আর শতভাগ এলাকার বর্জ্য অপসারণের ব্যর্থতা শুধুই যে সিটি করপোরেশনের; তা আমরা মনেকরি না। এক্ষেত্রে নগরবাসীরও দায় আছে। পরিবেশ দূষণ এড়াতে গত বছরের মতো এবছরও পশু কোরবানির জন্য ১১৭৪টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ রাজধানী জুড়ে যত্রতত্র পশু কোরবানি করেছেন। আর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনের পক্ষেও কোন উদ্যোগ ছিল না। এক্ষেত্রে তাদের অসহায়ত্ব আমারও লক্ষ্য করেছি। অবশ্য সবকিছু ছাপিয়ে মেয়র আমাদের নতুন আশার বাণী শুনিয়ে বলেছেন, তারা আইন দিয়ে নগরবাসীকে এটা মানতে বাধ্য করতে চান না। বরং উদ্বুদ্ধ করতে চান। যেন জনগণ স্বেচ্ছায় এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে। এর জন্য হয়তো আরও দু’চার বছর সময় লাগবে। আমাদেরও চাওয়া; তার এ আশার বাণী বাস্তবে পরিণত হোক। এ কথা কিন্তু সবাইকেই মানতে হবে, আগের বছরগুলোর তুলনায় বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সক্ষমতার পাশাপাশি দক্ষতাও বেড়েছে। তবে সক্ষমতা আর দক্ষতা যতোই বাড়ুুক না কেন; আমরা মনেকরি নগরবাসী সচেতন না হলে বর্জ্য অপসারণে শতভাগ সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়।