বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় গোটা নগরীর রাস্তাঘাটে শুক্রবার সকাল থেকে লোকজনের উপস্থিতি ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে। নগরজুড়ে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। নগরীর নিরাপত্তার জন্য খুলনা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী থেকে ১০ প্লাটুন বিজিবি এবং ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর নিরাপত্তার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের কাছে নিরাপত্তা বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য আবেদন করেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় জরুরি সভা করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
স্থানীয়রা বলছেন, বিজিবি মোতায়েনের খবরে ওই হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় অভিযুক্তরা নগরী ছাড়তে শুরু করেছেন।
বুধবার রাতে সদর উপজেলা চত্বরে ব্যানার ও পোস্টার অপসারণের সময় সিটি কর্পোরেশন কর্মীদের বাধা দেয় ইউএনওর বাসভবনে দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা। পরে কর্পোরেশন কর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতারা সেখানে গেলে ইউএনও’র সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। রাত ১১টার দিকে নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে নেতাকর্মীরা। ঢুকে পড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন প্রাঙ্গনে।
এসময় আনসার সদস্যরা অ্যাকশনে গেলে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৩০ নেতাকর্মী।