বরিশাল জেলা প্রতিনিধি: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী একটি ডকইয়ার্ডে নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়া এডভেঞ্চার-৬ নামে একটি ওয়াটারবাস আগুনে পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে নৌ ও স্থল ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওয়াটারবাসটির ৩টি ফ্লোরে আগুন লেগে সমস্ত ফিটিংস, চেয়ার, ইঞ্জিনসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওয়াটারবাসটির মালিক।
পুড়ে যাওয়া ওয়াটারবাস এডভেঞ্চার-৬ এক সপ্তাহ পর থেকে চলাচলের কথা ছিলো । এর নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
নিজাম শিপিং লাইন্সের ডকইয়ার্ডে এডভেঞ্চার-৬ ওয়াটারবাসটি ছাড়াও এডভেঞ্চার-৫ নামে আরেকটি ওয়াটারবাস এবং এমভি এডভেঞ্চার-৯ নামে নির্মাণাধীন একটি জাহাজ রয়েছে। ওই দুটি জাহাজের কোন ক্ষতি হয়নি।
ওয়াটারবাসটির মালিক নিজাম শিপিং লাইন্সের সত্ত্বাধিকারী বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নিজাম উদ্দিন মৃধা আগুন লাগার ঘটনাটিকে নাশকতা হতে পারে বলে ধারণা করছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মিডিয়ায় তার নৌযান পানিতে ভাসনোর কথা ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ বা কোন মহল আগুন লাগাতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, ডকইয়ার্ডের পাশে একটি মসজিদে শ্রমিক-কর্মচারীরা তারাবিহ নামাজ আদায় করছিলেন। হঠাৎ তারা দেখেন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এরপর মাইকিং করলে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে আসেন।
প্রায় এক ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার সময় সেখানে বিদ্যুত ছিল না বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী ।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক শামীম আহসান চৌধুরী জানিয়েছেন, খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপক লঞ্চসহ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
তাৎক্ষণিক আগুন লাগার কারণ কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি। আগুনের উৎস এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে একটি তদন্ত কমিটি করার কথা বলেন তিনি।